লর্ডসের ব্যালকনি থেকে যে দৃপ্ত ভঙ্গিতে নিজের জার্সি খুলে উড়িয়েছিলেন, সে ভাবে আরও এক বার জামাটা খুলে যেন ওড়ান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এ বার অলিম্পিকের শুটিং রেঞ্জে দাঁড়িয়ে, ভারতীয় শুটারদের জেতার আনন্দে! ছেট্ট এই চাহিদাটা যাঁর, তিনি এ বারের অলিম্পিকে ভারতীয় শুটিং দলের একমাত্র বাঙালি। জয়দীপ কর্মকার। শুটিং বিশ্বকাপে যোগ দিতে লন্ডন রওনা হওয়ার আগে এ দিন যিনি বলে গেলেন, “দাদা বলেছেন, অলিম্পিকে আমার পারফরম্যান্স দেখার জন্য লন্ডন যেতে পারেন।” সৌরভের সঙ্গে জয়দীপ দেখা করেছিলেন। জয়দীপ বলেছেন, “আমার সঙ্গে খুব অল্প সময় কথা হয়েছে দাদার। তবে উনি যদি সত্যিই অলিম্পিকে নিজের ছোট ভাইয়ের লড়াই দেখার জন্য লন্ডন যান তা হলে আমার থেকে খুশি আর কেউ হবে না। আশা করি আমাদের শুটিং দলের কেউ পদক জিতলে দাদা আবার সেই বিখ্যাত ভঙ্গিতে নিজের জামা খুলে ওড়াবেন!”
|
গ্যাংটকে ভাইচুংদের বিরুদ্ধে ম্যাচে ঝামেলার জের। মহমেডানের বিরুদ্ধে কড়া রিপোর্ট জমা দিলেন ম্যাচ কমিশনার এবং রেফারি। পাশাপাশি এ দিনই ভাইচুংদের ক্লাবের প্রধান স্পনসর হয়ে গেল ইউরো গ্রপ।
দু’জনের রিপোর্টেই মহমেডানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। মহমেডান কর্তারা বিপক্ষ ও রেফারির বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুললেও রেফারিদের রিপোর্টে পরিষ্কার বলা হয়েছে, সিকিম ইউনাইটেডকে পেনাল্টি দেওয়ার পরেই ঝামেলা শুরু করেন সাদা-কালো ফুটবলাররা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, পুলিশকে মাঠে নেমে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় গোটা ঘটনা। অভিযোগ, ম্যাচ শেষে রেফারিদের ঘরের দরজায় লাথিও মারেন মহমেডান ফুটবলাররা। আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর বললেন, “রেফারি এবং ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্টে পরিষ্কার ভাবে লেখা আছে, মহমেডান হেনস্থা করেছে তাদের।”
|
এশিয়ান গেমস খেলানো প্রাক্তন ফিফা রেফারি দিলীপ সেনকে সারা জীবনের স্বীকৃতির জন্য পুরস্কৃত করল রেফারি সংস্থা। বুধবার সংস্থার প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে দিলীপবাবুর হাতে পুরস্কার তুলে দেন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, “রেফারিদের যে কোনও প্রয়োজনে পাশে থাকবে রাজ্য সরকার।” দিলীপবাবু ছাড়াও সাগর সেন, সুমন্ত ঘোষ, করুণা ভট্টাচার্য-সহ ১১ জন প্রাক্তন রেফারিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। গত বছর রেফারিদের বিচারে কলকাতার তিন সেরা রেফারিকেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এঁরা হলেন বাপি দে, সুমন মজুমদার এবং পবিত্র বিশ্বাস। শ্রীলঙ্কায় এশীয় যুব টুর্নামেন্ট খেলিয়ে আসা মেয়ে রেফারি মণিকা জানাকেও সম্মান জানানো হয়। ১২০ জন রেফারি ও ৩০ জন রেফারি ইনস্ট্রাকটরের হাতে তুলে দেওয়া হয় কিট। তবে সবথেকে চমকপ্রদ ব্যাপার হল রেফারি সংস্থার প্রেসিডেন্ট মিলন দত্ত রেফারিদের সাহায্যের জন্য সংস্থার তহবিলে পঞ্চাশ হাজার টাকা দান করেন। মিলনবাবু বলেন, “সারা জীবনই তো রেফারিং করিয়ে অনেক কিছু পেলাম। এ বার সামান্য হলেও কিছু রেফারিদের উন্নতির জন্য দিচ্ছি।”
|