শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে কিয়ানি |
দু’দেশের ‘উন্নয়নের স্বার্থে’ ভারত-পাকিস্তানের যাবতীয় সমস্যার সমাধান করা উচিত বলে মন্তব্য করলেন পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কিয়ানি। পাকিস্তানে ক্ষমতার মূল কেন্দ্র সেনাবাহিনীর প্রধান কিয়ানি এই প্রথম শুধু চলতি শান্তিপ্রক্রিয়া নিয়েই মুখ খুললেন না, সাংবাদিকদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বললেন যথেষ্ট খোলামেলা ভাবেই। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তাঁর বক্তব্য, সেনাবাহিনী জানে, উন্নয়নের কথা ভুলে শুধু প্রতিরক্ষায় খরচ করে যাওয়া কোনও দেশের পক্ষেই সম্ভব নয়। কারণ, দেশের নিরাপত্তা শুধু সীমান্তরক্ষার উপর নির্ভর করে না, দেশের মানুষ সুখী কি না, তাঁদের আশা পূর্ণ হচ্ছে কি না, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তাই ভারত-পাকিস্তানের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ সব সমস্যা নিয়েই পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলে শান্তিপ্রক্রিয়া এগোনোর পক্ষপাতী। সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের তীর্থ-কূটনীতিও দেখেছে উপমহাদেশ। কিন্তু দিল্লির পক্ষে উদ্বেগের কারণ, সেনা, মোল্লাতন্ত্র-সহ ক্ষমতার বিভিন্ন কেন্দ্রের উপস্থিতি ও সেই প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক নেতৃত্বের ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়া। সে দিক থেকে কিয়ানির আজকের মন্তব্য সামগ্রিক ভাবে জারদারি এবং মনমোহন সরকারদু’পক্ষের পক্ষেই স্বস্তিদায়ক। সম্প্রতি তুষারধসে পাকিস্তানের ১২৭ জন সেনার মৃত্যুর পরে সিয়াচেনে সেনা উপস্থিতি নিয়ে পাকিস্তানে প্রশ্ন উঠেছে। আজ সেই ধসের এলাকায় গিয়ে কিয়ানি বলেন, “১৯৮৪ সালে ভারত সেনা পাঠিয়ে এই এলাকা দখল করে। তাই পাকিস্তানকে সেনা রাখতে হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব সিয়াচেন সমস্যার সমাধান করা উচিত। এর মূল্য দু’দেশকেই দিতে হচ্ছে।”
|
দুই শিশুকেই ফিরিয়ে দিতে চাইছে নরওয়ে |
উজ্জ্বল হল অভিজ্ঞান, ঐশ্বর্যাকে ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। কাল স্ট্যাভাঙ্গারের আদালতে নরওয়ের শিশুকল্যাণ দফতর জানিয়েছে, শিশুদের পক্ষে সব চেয়ে ভাল দেশে ফিরিয়ে দেওয়া। অভিজ্ঞান-ঐশ্বর্যার দেখভালের দায়িত্ব কাকা অরুণাভাসকে দিতেও আর আপত্তি নেই শিশুকল্যাণ দফতরের। শিশু দুটির যত্নের ব্যাপারে অরুণাভাস যেভাবে উদ্যোগী হয়েছেন, তাতে তারা সন্তুষ্ট। গত বছর মে মাসে বাবা-মায়ের সঙ্গে মানসিক দূরত্ব বাড়ার অভিযোগে অনুরূপ ও সাগরিকা ভট্টাচার্যের কাছ থেকে তাদের দুই সন্তানকে নিয়ে যায় শিশুকল্যাণ দফতর। অভিজ্ঞান-ঐশ্বর্যা নিয়ে আলোচনা গড়ায় দু’দেশের শীর্ষ কূটনৈতিক স্তরেও। দীর্ঘ টালবাহানার পর ঠিক হয়, তাদের দায়িত্ব নেবেন অরুণাভাস। কিন্তু স্বামী-স্ত্রী’র সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় পিছোতে থাকে সেই প্রক্রিয়াও। ২৩ এপ্রিল এই মামলার রায় ঘোষণার কথা।
|
নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে সইদ |
আমেরিকার চাপের কাছে নতিস্বীকার করে পাকিস্তানি প্রশাসন যাতে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করে, সে বিষয়ে হাইকোর্টে আবেদন করল জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদ। সইদের পাশাপাশি একই আবেদন করেন তাঁর আত্মীয় হাফিজ আবদুর রেহমান মাক্কি। আবেদনে সইদ ও মাক্কি দু’জনেই বলেন, তাঁদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। অতএব পাকিস্তানি যেন তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। তাঁদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি আজমত সইদ শেখ অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে এ বিষয়ে চলতি মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে মতামত জানাতে নোটিস পাঠিয়েছে। উল্লেখ্য সম্প্রতি আমেরিকা সইদ ও মাক্কির মাথার দাম ঘোষণা করেছে। |