বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিন্টন, ওয়ারেন বাফে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি বছরে বিশ্বের ১০০ জন সব চেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় মমতাকে অন্তর্ভুক্ত করল মার্কিন সাপ্তাহিক ‘টাইম’। মার্কিন প্রেসিডেন্ট, মার্কিন বিদেশসচিব এবং বিশিষ্ট বিনিয়োগকারীর সঙ্গে একাসনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
মমতাকে প্রভাবশালীদের তালিকায় ঠাঁই দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সাপ্তাহিকটি বলেছে, ‘গত বছর মমতা এবং তাঁর হাত ধরে গড়ে ওঠা তৃণমূল স্তরের আন্দোলনের জেরে পশ্চিমবঙ্গে সাড়ে তিন দশকের বামপন্থী শাসনের অবসান হয়েছে। মমতার সমালোচকেরা তাঁকে রগচটা অস্থিরমতি বললেও দীর্ঘ লড়াইয়ের শেষে নিজেকে পরিণত রাজনীতিক হিসেবেই প্রমাণ করেছেন তিনি।’
এই শিরোপা সম্পর্কে কলকাতার টাউন হলে বুধবার এক প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, “আমি সাধারণ ঘর থেকে এসেছি। আমাকে সম্মান দেওয়া মানে আমার রাজ্যের মা-মাটি-মানুষকে সম্মান দেওয়া। আমি মানুষের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব। কিছু লোক চক্রান্ত করছে। যদিও সংখ্যাটা খুবই কম। বেশির ভাগ মানুষই আমাদের সমর্থন করছেন।” ‘পরিবারতান্ত্রিক’ ভারতীয় রাজনীতিতেও নিম্ন-মধ্যবিত্ত তকমাটা মমতার সামনে কোনও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি বলে মন্তব্য করে সাপ্তাহিকটি বলেছে, দিল্লির ক্ষমতার অলিন্দে, যেখানে রাজনীতির দরকষাকষিই আসল খেলা, সেখানেও দক্ষতার শীর্ষে পৌঁছেছেন তিনি। পত্রিকাটির মতে, নিজের রাজ্যে মমতা জনমোহিনী ও কর্মতৎপর নেত্রী হিসেবে ইতিমধ্যেই নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তবে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে তিনি আরও বড় ভূমিকা পালনের অপেক্ষায়।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ ‘টাইম’ পত্রিকার প্রচ্ছদে ঠাঁই পেয়েছিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে গুজরাত শাসন করা মোদী কি দেশের শাসক হয়ে উঠতে পারবেন, প্রশ্ন তুলেছিল পত্রিকাটি। |