খেলার টুকরো খবর

ঘুটিং খেলা
(হারিয়ে যাওয়া খেলা-পর্ব ১৬)
‘মাঠান’ অর্থাৎ এঁটেল মাটি যুক্ত এলাকায় ছোট ছোট সাদা পাথর পাওয়া যায়। একসময় মূলত আদিবাসীরা ওই পাথর পুড়িয়ে খৈনি খাওয়ার জন্য চুন তৈরি করতেন। চুন সুরকির গাঁথনির বাড়ি তৈরির জন্যও বড় চুল্লিতে ওই পাথর পুড়িয়েই চুন সংগ্রহ করা হত। ওই চুনাপাথরকে বলা হয় ‘ঘুটিং’। আর সেই পাথর দিয়ে একটি খেলার প্রচলিত নামই হল ‘ঘুটিং খেলা’।
ঘুটিং মূলত মেয়েদের খেলা। তবে কোথাও ছেলেদেরও যোগ দিতে দেখা যেত। একক ভাবে দু’জন কিংবা জোড়ায় জোড়ায় কমপক্ষে ৪ জন খেলোয়াড় নিয়ে ওই খেলা চলে। কে বা কারা আগে দান নেবে তা স্থির হয় টসের মাধ্যমে। খেলার জন্য বেছে নেওয়া হয় ৫টি গোলাকার ঘুটিং। ঘুটিংয়ের অভাবে ছোট আকৃতির পাথরকুচি দিয়েও খেলা চলে।
খেলার নিয়ম হল, প্রথমে দানচালকারী ঘুটিংগুলি দু’হাতে নিয়ে উপরের দিকে ছুঁড়ে দিতে হবে। তারপর মাটি থেকে একটি গুটি নিজের হাতে তুলে নিয়ে একে একে অন্যগুটি গুলিও সন্তর্পণে একটি একটি করে ‘একে মুই, দুই-এ-মুই, তিনে-মুই’ বলে উপরের দিকে ছুঁড়ে লুফে নিতে হবে। শেষে পঞ্চম গুটিকে বাঁ হাতে তুলে বাকি ৪টিকে মাটিতে ফেলে দিতে হয়। এই ভাবে পাঁচবার ঠিকঠাক সফল হতে পারলে ‘মুই’-এর পর্যায় শেষ হয়। তবে গুটি লুফে নিতে ব্যর্থ হলে বিপক্ষ দান নেওয়ার সুযোগ পায়। জোড়ায় জোড়ায় খেললে অবশ্য সঙ্গী খেলোয়াড় নিজের দান সফল ভাবে নেওয়ার পর অকৃতকার্যের দান নিয়ে তাকে ফের খেলায় সামিল করার সুযোগ পায়।
এরপর ‘বড্ডু’ পর্যায়। এক্ষেত্রে একই প্রক্রিয়ায় হাতে ১টি গুটি তোলার পর প্রথমে একসঙ্গে দুটি, পরে ১টি করে গুটি ‘একে বড্ডু, দুইয়ে বড্ডু’ বলে পাঁচবার লুফতে হয়। বড্ডুর পর ‘ছক্কু’ পর্যায়। এক্ষেত্রে উপরের দিকে ছুঁড়ে গুটি ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বনের প্রয়োজন। লক্ষ রাখতে হয় কোনও গুটি যাতে কাছাকাছি না পড়ে কিংবা জোড়া না লাগে। কারণ, ‘ছক্কু’তে একসঙ্গে কতকগুলি গুটি তুলতে হয়, তা নির্ধারণ করে দেয় বিপক্ষ। সেক্ষেত্রে কাছাকাছি কিংবা জোড়া লেগে থাকা গুটি তুলতে গেলে অন্যগুটি নড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। গুটি নড়ে গেলেই দানচালকারী ‘মড়া’ ঘোষিত হয়। অন্যথায় ‘একে ছক্কু, দুইয়ে ছক্কু’ বলে নির্বিঘ্নে পার হতে পারলে দানচালকারী ‘তেল’ এবং ‘ঝাপলা’ পর্যায় পেরিয়ে পৌঁছয় ‘বড্ডু ঝাপলা’য়। এক্ষেত্রে হাতে একটি গুটি নেওয়ার পর প্রথমে দুটি পরে তিনটি গুটিকে ডাক-সহ তুলতে হবে। ‘ছক্কু ঝাপলা’য় বিপক্ষের নির্ধারিত সংখ্যা অনুযায়ী গুটি তুলতে হবে। খেলার সর্বশেষ পর্যায় হল ‘তেল ঝাঁপলা’। এই পর্যায়ে প্রথমগুটিকে হাতে নেওয়ার পর একসঙ্গে তিনটি গুটিকে তুলতে হয়। তারপর সমস্ত গুটি ফেলে ডান হাতে মাটি চাপড়ে পঞ্চম গুটিকে তুলে নিতে পারলেই খেলার বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়। ‘চিক’ খেয়ে যায় বিপক্ষ। তখন দান নেওয়ার সুযোগ মেলে বিপক্ষের।
ময়ূরেশ্বর থানার লোকপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক জগদীশচন্দ্র রায়, লাভপুরের আইসিডিএস কর্মী অর্চনা মণ্ডল-রা জানান, ছোটবেলায় দিদি-বৌদি কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে আমরা প্রচুর ‘ঘুটিং’ খেলেছি। বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে ‘ঘুটিং’ খেলা দেখা যায় না বললেই চলে। চর্চার অভাবে হয়তো একদিন খেলার নিয়ম-কানুনটাই সবাই ভুলে যাবে।

চ্যাম্পিয়ন টাউন ক্লাব
জেলা পুলিশ আয়োজিত বোলপুর মহকুমা ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল বোলপুর টাউন ক্লাব। ১৫ এপ্রিল বোলপুর স্টেডিয়ামে ওই প্রতিযোগিতা হয়। মহকুমার ৫টি থানা পর্যায়ের খেলায় উইনার্স ও রানার্স দলগুলি যোগ দেয়। ফাইনালে বোলপুর ইয়ং টাউন ক্লাবকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় টাউন ক্লাব। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ ও ম্যান অফ দ্য সিরিজ নির্বাচিত হন টাউন ক্লাবের জগন্নাথ খান এবং যাদব মণ্ডল। উপস্থিত ছিলেন বোলপুরের এসডিপিও দেবস্মিতা দাস, বোলপুর থানার আইসি কমল বৈরাগ্য, বোলপুর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক তাপস দে প্রমুখ।

জয়ী গোল্ড স্টার
জেলা পুলিশ পরিচালিত সিউড়ি সদর মহকুমায় একদিনের ফুটবল প্রতিযোগিতায় আমোদপুর প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনকে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল সিউড়ি গোল্ড স্টার ক্লাব। ১৫ এপ্রিল সিউড়ি ক্রীড়া সংস্থার মাঠে ওই খেলা হয়। ৪টি থানা পর্যায়ের খেলায় উইনার্স এবং রানার্স দল যোগ দেয়। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন গোল্ড স্টারের শুভজিৎ চক্রবর্তী। হাজির ছিলেন ডিএসপি (হেড কোয়াটার্স) প্রশান্ত চৌধুরী, রাজ্য ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক কল্যাণ ঘোষাল, প্রাক্তন রঞ্জি ক্রিকেটার গোপাল ঘোষ প্রমুখ।

নকআউট ফুটবল
জেলা পুলিশ পরিচালিত রামপুরহাট মহকুমা একদিনের নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতায় মুরারই বটতলা ক্লাবকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল মাড়গ্রাম সোনালি স্পোর্টিং ক্লাব। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন মাড়গ্রামের রাহুল আলি শেখ। ১৩ এপ্রিল রামপুরহাট মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে ওই খেলা হয়। থানা পর্যায়ের খেলার ৫টি থানা, এলাকার উইনার্স এবং রানার্স দলগুলি যোগ দেয়। খেলায় হাজির ছিলেন মন্ত্রী নূরে আলম চৌধুরী, জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা, রামপুরহাটের এসডিপিও অভধেশ পাঠক প্রমুখ।

পাড়ুইয়ে টিপিএল
পাড়ুই থানার তাহেলা যুব গোষ্ঠীর পরিচালনায় ১২ এপ্রিল থেকে স্থানীয় মাঠে শুরু হয়েছে ৬ দলীয় তাহেলা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। যোগদানকারী দলগুলি হল এমজি রয়্যালস্, কাজী একাদশ, গণেশদা একাদশ, অ্যাস্টেন গ্রুপ, কালাম একাদশ এবং ইলেভেন ফক্সেস। আয়োজক সংস্থার সম্পাদক রফিকুল আলম জানান, উইনার্স এবং রানার্স দলকে ট্রফি-সহ যথাক্রমে ৬০০০ এবং ৪০০০ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

ফাইনালে জিতেন্দ্রলাল
আজ, বুধবার দাত্তু ফাদকার আন্তঃবিদ্যালয় ক্রিকেট ট্রফির ফাইনালে ইডেনে কলকাতার লা মার্টিনিয়ার স্কুলের মুখোমুখি হচ্ছে রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবন। গত ১৬ এপ্রিল নদিয়ার কল্যাণী অ্যাকাডেমি মাঠে মুর্শিদাবাদে সইজাবাদ হাইস্কুলকে ৭০ রানে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে জিতেন্দ্রলাল।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.