|
|
|
|
ওয়ার্ড সভাপতি বদলে ফের দ্বন্দ্ব প্রকট শহর যুব-তৃণমূলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আগামী রবিবার, ২২ এপ্রিল খড়্গপুরের রূপনারায়ণপুরে যুব-তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্মেলন রয়েছে। তার ঠিক আগে মেদিনীপুর শহরে যুব-তৃণমূল সংগঠনের মধ্যে বিবাদ প্রকাশ্যে এসে পড়ল। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘একতরফা সিদ্ধান্ত’ নেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী।
জেলা সম্মেলনের প্রস্তুতিতেই রবিবার (১৫ এপ্রিল) মেদিনীপুর শহর যুব-তৃণমূলের কার্যালয়ে এক সভা ডাকা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি দেবাশিস চৌধুরি, শহর সভাপতি স্নেহাশিস ভৌমিক প্রমুখ। সাংগঠনিক সূত্রের খবর, সম্মেলন সফল করতে কী কী পদক্ষেপ জরুরি, শহর-সংগঠন ঢেলে সাজাতেই বা কী করণীয়সে সব নিয়ে আলোচনা হয় ওই সভায়। ওই সভা থেকেই শহরের ৪, ৮, ৯, ১০, ১৯ ও ২৩--এই ছ’টি ওয়ার্ডের নতুন যুব-সভাপতির নামও ঘোষণা করা হয়। আর এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই সংগঠনের মধ্যেকার মতানৈক্য প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। ওই ৬টি ওয়ার্ডের আগের যুব-সভাপতিদের তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তটুকুও জানানো হয়নি এবং একতরফা ভাবে সংগঠন চলছে অভিযোগে সরব হয়েছেন শহর যুব-তৃণমূলের একাংশ। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর অবশ্য বক্তব্য, সব সিদ্ধান্তই আলাপ-আলোচনার মধ্যে দিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কয়েক জন ‘নিষ্ক্রিয়’ হয়ে পড়াতেই তাঁদের সরানো হয়েছে।
আগে শহর যুব-তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন সৌরভ বসু। তাঁকেও কয়েক মাস আগে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই পদে বসানো হয়েছিল সংগঠনের রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু অধিকারীর ‘অনুগামী’ বলে পরিচিত স্নেহাশিস ভোমিককে। সৌরভ অনুগামীদের অভিযোগ, বিভিন্ন ওয়ার্ডে এত দিন যাঁরা যুব সভাপতি ছিলেন, কোনও কিছু না জানিয়েই তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাংগঠনিক সভাতেও তাঁদের ডাকা হচ্ছে না। সৌরভের বক্তব্য, “সবার সঙ্গে আলোচনা করেই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো উচিত। ইদানীং যে সব সভা হচ্ছে, সেখানে আমাদের অনেককেই ডাকা হচ্ছে না!” সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে শহর যুব-তৃণমূলের বর্তমান সভাপতি স্নেহাশিসের দাবি, “কেউ কেউ দীর্ঘ দিন ধরে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিলেন। সভায় আসতেন না। কর্মসূচিও নিতেন না। কাজের মূল্যায়ন করেই কয়েক জনকে ওয়ার্ড সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে। আলোচনার পরেই সিদ্ধান্ত হয়েছে।” তাঁর বরং হুঁশিয়ারি, ‘‘কাজের মূল্যায়নের মাধ্যমে আগামী দিনেও রদবদল চলবে।” |
|
|
|
|
|