খেয়াল রাখুন

আর্থিক বাজার নিয়ে পাঠ্যক্রম
মূলধনী ও আর্থিক বাজার নিয়ে পেশাদারি পাঠ্যক্রম আনতে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুল অফ ফিনান্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট-এর সঙ্গে হাত মেলাল বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই) শাখা সংস্থা বিএসই ইনস্টিটিউট। দু’পক্ষেরই দাবি, যৌথ ভাবে জার্মানি ও ভারত, এই দুই দেশের আর্থিক বাজারের প্রশিক্ষণ দিতেই এই জোট। যে সমস্ত বিষয়ে তারা উদ্যোগী হচ্ছে, সেগুলির মধ্যে আছে
১) ছ’মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত মেয়াদের কোয়ান্টিটেটিভ ফিনান্সের উপর সার্টিফিকেশন ও স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম চালু করা,
২) ভারতীয় পেশাদার ও বিএসই ইনস্টিটিউটের বর্তমান এমবিএ বা গ্লোবাল ফিনান্স ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম-এর পড়ুয়াদের ফ্রাঙ্কফুর্ট ভ্রমণের ব্যবস্থা করা, যা শুরু করার পরিকল্পনা সেপ্টেম্বর থেকেই,
৩) যৌথ ভাবে ভারতে সিনিয়র এগজিকিউটিভদের জন্য কোর্স শুরু করা। ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামস হিসেবে এক থেকে দু’দিন মেয়াদের এই পাঠ্যক্রম চালু হওয়ার কথা। বিএসই ইনস্টিটিউটের এই প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার সুবিধা নিয়ে ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুল স্বাধীন ভাবেও কিছু পাঠ্যক্রম করাতে পারে।
৪) ইন্টার্নশিপের সময়ে পড়ুয়া বিনিময় ব্যবস্থা চালু করা।


ব্যাঙ্কিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা
রিটেল ব্যাঙ্কিং-এর স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা পাঠ্যক্রম আনতে গাঁটছড়া বাঁধল অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক এবং দেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যাঙ্কিং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এনআইআইটি অফ ফিনান্স, ব্যাঙ্কিং এবং ইনশিওরেন্স ট্রেনিং। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন রিটেল ব্যাঙ্কিং’ নামের পাঠ্যক্রমটি অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কে কাজ করার উপযোগী দক্ষ পেশাদার তৈরি করতেই আনা হয়েছে। প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে প্রধানত চারটি বিষয়কে নজরে রেখে ব্যাঙ্কে কাজ করার মূল বিষয়গুলি, তার যথাযথ প্রয়োগ, প্রযুক্তি এবং সর্বোপরি বিশ্বায়নের যুগে গ্রাহক-পরিষেবার নতুন সমীকরণ। লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ভর্তি হওয়া যাবে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, পাঠ্যক্রমের জন্য নির্বাচিত হলেই প্রার্থীকে সাময়িক ভাবে একটি নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। পরে সাফল্যের সঙ্গে কোর্স শেষ করার পর প্রার্থী ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কে ফ্রন্ট ডেস্ক অফিসার (এফডিও) পদে যোগ দিতে পারবেন। গ্রাহক যোগাযোগই এই কাজের ভিত্তি হওয়ায় প্রার্থীর মনোরম ব্যক্তিত্ব, কথোপকথন ও জনসংযোগের দক্ষতা ইত্যাদি যাচাই করে দেখা হবে। ফোন: বা


রিটেল ম্যানেজমেন্টের পাঠ্যক্রম
কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট (আই আই এস ডব্লিউ বি এম)-এ চালু হল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন রিটেল ম্যানেজমেন্ট পাঠ্যক্রমে ভর্তির প্রক্রিয়া। দু’বছরের পূর্ণ সময়ের এই কোর্সটি এআইসিটিই অনুমোদিত। প্রতিষ্ঠান থেকে আবেদনপত্র তোলা এবং জমা দেওয়ার শেষ দিন ১ জুন। বিষয়টি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য ফোন করে নিতে পারেন নম্বরে। প্রয়োজন পড়লে দেখে নিতে পারেন প্রতিষ্ঠানের www.iiswbm.edu ওয়েবসাইটটি।
উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের জন্য রাজ্যের অন্যতম শিক্ষা গোষ্ঠী জে আই এস-এর অধীন গুরু নানক ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি একগুচ্ছ পাঠ্যক্রম চালু করেছে উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের জন্য। এগুলি হল, তিন বছরের ব্যাচেলর ইন হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট, তিন বছরের বি এসসি অনার্স ইন বায়ো-টেকনোলজি, বি এসসি অনার্স ইন মাইক্রো-বায়োলজি ও চার বছরের ব্যাচেলর অফ ফার্মাসি। এ ছাড়া ডিপ্লোমা ও স্নাতকোত্তরেও নতুন কিছু পাঠ্যক্রম আনছে তারা। যেমন, ডিপ্লোমা ইন মেডিক্যাল ল্যাব টেকনিশিয়ান, এম এসসি ইন মেডিক্যাল বায়োটেকনোলজি এবং এম এসসি ইন মেডিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি। শীঘ্রই এগুলি চালু হয়ে যাবে বলে দাবি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের। ফোন: /। দেখে নিন www.gnipst.ac.in ওয়েবসাইটটি।
আপনার প্রশ্ন
বিশেষজ্ঞের উত্তর
প্রশ্ন: মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পলিটেকনিক কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এর পর শুধু রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতেই সরাসরি বি টেক-এর দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি হওয়া সম্ভব? না কি দেশের যে কোনও রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেই ভর্তি হওয়ার সুযোগ আছে?
উত্তর: রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড আয়োজিত জিলেট পরীক্ষার মাধ্যমে শুধুমাত্র রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেই ভর্তি হওয়া সম্ভব।

প্রশ্ন: আমার মেয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ছে। আমি চাই ১০+২-এর পর ও টাটা ইনস্টিটিউট অফ স্পেশ্যাল সায়েন্সেস (টিস)-এ পড়ুক। তবে, স্নাতকে সেটা সম্ভব না হলে, পরে স্নাতকোত্তরে কোন কোন পাঠ্যক্রমে ভর্তি করতে পারি?
উত্তর: টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস অর্থাৎ ‘টিস’-এ ১০+২ পেরনোর পর মাত্র একটি কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। ব্যাচেলর ইন সোশ্যাল সায়েন্স (অনার্স), স্পেশালাইজেশন ইন রুরাল ডেভেলপমেন্ট। আসন ২০টি। যে কোনও শাখায় ৫০% নম্বর নিয়ে ১০+২ উত্তীর্ণ হতে হলে প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসা যাবে। যা হয় সাধারণত ১০০ নম্বরের। লিখিত পরীক্ষায় সফল হলে গ্রুপ ডিসকাশন (সব ক্ষেত্রে নয়) এবং ইন্টারভিউ। বরাদ্দ ৭০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষা, গ্রুপ ডিসকাশন এবং ইন্টারভিউয়ে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে চূড়ান্ত বাছাই হয়।
এর থেকে বুঝতেই পারছেন যে, দ্বাদশের পর ‘টিস’-এ ভর্তি হওয়ার সুযোগ বেশ সীমিত। তবে অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক হওয়ার পর স্নাতকোত্তরে যদি এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আগ্রহ থাকে, সে ক্ষেত্রে সুযোগ অনেকটাই বেশি। প্রত্যেকটি পাঠ্যক্রমে ভর্তির জন্যই সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে হয়। পরীক্ষাটি হয় ডিসেম্বরে। আবেদনপত্র দেওয়া শুরু হয় সেপ্টেম্বর নাগাদ। বিভিন্ন পাঠ্যক্রমে ভর্তির জন্য এ ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে ১০+২+৩ উত্তীর্ণ হতে হয়। এমনকী চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রছাত্রীরাও আবেদন করতে পারেন। কয়েকটি ক্ষেত্রে অবশ্য ব্যতিক্রমও রয়েছে। আগে সেগুলিই জানানো হল।
১) মাস্টার অফ পাবলিক হেল্থ ইন হেল্থ পলিসি, ইকনমিক্স অ্যান্ড ফিনান্স এবং মাস্টার অফ পাবলিক হেল্থ ইন সোশ্যাল এপিডেমিওলজি এই দু’টির ক্ষেত্রে যে কোনও শাখায় স্নাতকোত্তর হতে হবে। আবেদন করতে পারবেন চিকিৎসাশাস্ত্র বা প্যারামেডিক্যাল পড়ে আসা প্রার্থীরাও।
২) যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী স্নাতক স্তরে চূড়ান্ত বর্ষে পড়ছেন, তাঁরা হেল্থ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, হসপিটাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, পাবলিক হেল্থ ইন সোশ্যাল এপিডেমিক, পাবলিক হেল্থ ইন হেল্থ পলিসি, ইকনমিক্স অ্যান্ড ফিনান্স কোর্সে আবেদন করতে পারবেন না। অর্থাৎ স্নাতক কোর্স সম্পূর্ণ করার পরই তারা এই পাঠ্যক্রমগুলিতে ভর্তির যোগ্য।
৩) মাস্টার ইন হ্যাবিটেট পলিসি অ্যান্ড প্র্যাক্টিস কোর্সে ভর্তির জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার, ম্যানেজমেন্ট, ফিজিক্যাল সায়েন্সেস, জিওগ্রাফি, প্ল্যানিং, আইন বা সোশ্যাল সায়েন্সেস-এ স্নাতক হতে হবে। এ ছাড়া, যে কোনও বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতক স্তরের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা যে সমস্ত পাঠ্যক্রমে ভর্তি হতে পারবেন, সেগুলি হল এম এ ইন সোশ্যাল ওয়ার্ক, এম এ ইন কাউন্সেলিং, এম এ ইন উইমেন্স স্টাডিজ, মাস্টার ইন ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, এম এ ইন মিডিয়া অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজ, এম এ ইন ডিজেবিলিটি স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যাকশন, এম এ ইন এডুকেশন, এম এ ইন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, এম এ ইন সোশ্যাল অন্ত্রেপ্রেনরশিপ, এম এ ইন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লেবার রিলেশন্স, এম এ ইন গ্লোবালাইজেশন অ্যান্ড লেবার।
প্রসঙ্গত, প্রত্যেকটি পাঠ্যক্রমের জন্য আলাদা ভাবে প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লিখিত পরীক্ষা হয় ১০০ নম্বরের। তবে সোশ্যাল ওয়ার্ক-এর জন্য ৭৫ নম্বরের, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লেবার রিলেশন্সের জন্য ৭০ নম্বরের, কাউন্সেলিং-এর পাঠ্যক্রমের জন্য ৭০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হয়। তাই এই পাঠ্যক্রমগুলির ক্ষেত্রে আবার গ্রুপ ডিসকাশন নেওয়া হয়। যা অন্যান্য কোর্সগুলিতে হয় না।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.