দিনহাটা শহরের ঐতিহ্য তথা সমস্ত উৎসব-পার্বণের সাক্ষী ‘থানাদিঘি’ সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে। জীর্ণ রোগগ্রস্ত তার দশা। প্রতিমা বিসর্জন, ছট পুজো, শ্রাদ্ধ, বিয়ে সবেরই সাক্ষী এই দিঘি। কিন্তু আবর্জনার ভারে তার এখন দমবন্ধ অবস্থা। গঙ্গা যেমন সমস্ত আবর্জনা, দূষণ বুকে করে বয়ে চলেছে, তেমনি দিনহাটার থানাদিঘিও সব বিষ বুকে করে বইতে বইতে ক্লান্ত। ইতিপূর্বে কিছু সংস্কারের কাজ হলেও তা তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। পৌরসভার সাফাইকর্মীরা অন্য সব আবর্জনা সাফাই করলেও দিঘির আবর্জনা পড়ে থাকে দিঘিতেই। দিঘির পাড় দ্রুত সংস্কার না হলে ভাঙনের কবলে পড়বে সংলগ্ন বাড়িগুলো। পুরসভার সক্রিয় ভূমিকা ও সাধারণ মানুষের দূষণ নিয়ন্ত্রণ মনোভাবই রক্ষা করতে পারে দিনহাটার ‘গঙ্গা’কে। |
শিলিগুড়িতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ বেড়েই চলেছে যানবাহনের সংখ্যা। কলকারখানার বিষাক্ত ধোঁয়ার আক্রমণ সে ভাবে না থাকলেও এ শহরের বায়ুদূষণের মাত্রা আতঙ্কিত হওয়ার মতোই। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পক্ষ থেকে করা সমীক্ষায় জানা গেছে যে দূষণ থেকেই ভয়ঙ্কর ভাবে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ।
জনসংখ্যার চাপে শিলিগুড়ি থেকে সবুজ ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। কমছে বিশুদ্ধ বাতাস। এ বিপদকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে মোটর ভেহিকেলস বিভাগের উদাসীনতা। পুরনো যানবাহন থেকে সবচেয়ে বেশি মাত্রায় দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে বহু অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, গাড়ির ধোঁয়া পরীক্ষা করার অভিযানও আর দেখা যায় না। ফলত বেড়েই চলেছে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের প্রকোপ। প্রশাসন কি এ বার একটু সক্রিয় হবে? |
সংবাদ মাধ্যম থেকে জানতে পারলাম রাজ্য সরকার স্কুলে শিক্ষকতার জন্য (মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক) বি এড ডিগ্রি বাধ্যতামূলক না করলেও স্নাতক স্তরে ৫০% নম্বর বাধ্যতামূলক করেছেন। ২০০৯-২০১০ শিক্ষাবর্ষে যারা গ্র্যাজুয়েট হয়েছে, তাদের স্নাতক স্তরে ৪৫% নম্বর দরকার। তফশিলিরা উভয়ক্ষেত্রেই ৫% নম্বর ছাড় পাবেন। অর্থাৎ পাশ করলেই তফশিলিরা স্কুল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন। অন্য প্রার্থীরা পারবেন না।
জেনারেল প্রার্থীদের স্কুল-কলেজে ভর্তি থেকে চাকরিতে আবেদন করা পর্যন্ত যে কত লড়াই করতে হয় তা সকলেই ভাল জানেন। জীবনে দৌড়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সঙ্গে লড়াই করে ২০০৯-২০১০ শিক্ষাবর্ষে কোনও জেনারেল পরীক্ষার্থীর নম্বর ৪৫% এর কম এবং অন্য শিক্ষাবর্ষে ৫০% এর কম হয়, তবে তিনি বর্তমান নিয়ম মতো স্কুল সার্ভিস পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবেন না। আজও এই বাংলায় এমন অনেক জেনারেল প্রার্থী রয়েছে, যাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই। আবার এমন তফশিলি প্রার্থী রয়েছে যারা আর্থিক ভাবে যথেষ্ট স্বচ্ছল। নামেই শুধু তফশিলি।
স্বাধীনতার সময়ে ভারতের সংবিধানে যে সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছিল, তা ছিল তখনকার পিছিয়ে পড়া জাতিদের সাম্য ও উন্নয়নের জন্য। কিন্তু ১৯৫০ থেকে শুরু করে আজও তা বলবৎ আছে। অনেকেই শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখে। তাদের নম্বরের বিধান দিয়ে স্কুল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার সুযোগটা এ ভাবে কেড়ে নেবেন না। পরীক্ষার মান উঁচু হোক, প্রশ্নের ধরন বদলাক, নম্বর বিভাজন বদলাক সবই মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু পরীক্ষায় বসার অধিকার কেড়ে নেওয়া, মানা যায় না। স্কুল সার্ভিস পরীক্ষা হোক সবার জন্য, এটাই আবেদন করি। |