সদর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রোগীর জন্য বরাদ্দ বি পজেটিভ রক্তের প্যাকেট মর্গের পাশে জঞ্জাল থেকে উদ্ধারের ঘটনায় মালদহে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার বিকেলে ওই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পেয়ে জেলাশাসক শ্রীমতী অর্চনা তদন্তের নিদের্শ দিয়েছেন। জেলাশাসক বলেন, “কেন রক্তের প্যাকেট জঞ্জালে পড়ে ছিল তা তদন্ত করে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।” ওই ঘটনায় উদ্বিগ্ন মালদহ জেলা ভলান্টারি ব্লাড ডোনাস ফোরাম। সংগঠনের সম্পাদক সৌমিত্র দত্ত বলেন, “জেলা জুড়ে রক্তের সংকট চলছে। তার উপরে বি পজেটিভ রক্ত পাওয়াই যাচ্ছে না। মর্গে জঞ্জালের রক্তের প্যাকেট পড়ে থাকায় আমরা উদ্বিগ্ন। কোনও রোগীকে ওই রক্ত বরাদ্দ করা হলেও কী ভাবে তা হাসপাতালের বাইরে বের হল। হাসপাতালের গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটেছে। |
দোষী ব্যক্তিকে শনাক্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।” জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ মেডিক্যাল কলেজের নবনিমির্তি ভবনের জন্য সদর হাসপাতালের প্রধান গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মর্গের পাশ দিয়ে হাসপাতালে ঢোকার গেট হয়েছে। হাসপাতালে ঢোকা ও বার হওয়ার সময় রোগীদের আত্মীয়েরাই প্রথম রক্তের প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরাই জেলা ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের সম্পাদককে ফোন করে ঘটনাটি জানা। ওই প্যাকেটের গায়ে লেখা রয়েছে, ২০১১ সালের ৭ এপ্রিল রক্তদান শিবির থেকে সেটি সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মেয়াদ রয়েছে ১২ মে ২০১২ পর্যন্ত। সদর হাসপাতাল ব্লাড ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১ এপ্রিল ওই বি পজেটিভ রক্তের প্যাকেটটি সদর হাসপাতালের এসএনসিইউ ওয়ার্ডে ভর্তি এক শিশুর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেই রক্তের প্যাকেট কীভাবে হাসপাতালের বাইরে গেল তা বুঝে উঠতে পারছেন না সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। সদর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক রাধারমণ সামন্ত বলেন, “ছুটিতে রয়েছি। কী হয়েছে বলতে পারব না।” সদর হাসপাতালের সুপার হিমাদ্রি আড়ি বলেন, “রোগীর জন্য বরাদ্দ রক্তের প্যাকেট কীভাবে বাইরে গেল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটা হতে পারে যে রোগীর জন্য ওই রক্ত বরাদ্দ করা হয় তার মৃত্যু হলে পরিবারের লোকেরা সেটি বাইরে ফেলে দিয়ে যান। হাসপাতালের অন্য কেউ ওই রক্তের প্যাকেট বাইরে ফেলেছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
নববর্ষে পাঁশকুড়া স্টেশন সংলগ্ন পুরনো বাসস্ট্যান্ডে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশন। শিবিরের উদ্বোধন করেন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। |