সিপিএম পরিচালিত মানবাজার ১ পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ সনাতন মাহাতোর বিরুদ্ধে আগেই বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। এ বার তিনি ‘শারীরিক অসুস্থতার’ কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করলেন। সনাতনবাবুর দাবি, “শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমি পদত্যাগ করেছি।” যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, পদত্যাগ করা ছাড়া সনাতনবাবুর আর কোনও উপায় ছিল না। তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা কোর কমিটির সদস্য শৈলেন মিশ্রের অভিযোগ, “সনাতনবাবুর বিরুদ্ধে পদের অপব্যবহার ও পঞ্চায়েত সমিতিকে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ ছিল। মানবাজার ১ পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত ভালুবাসা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দু’টি পুকুর রায়তি হওয়া সত্ত্বেও খাস দেখানো হয়েছিল। ওই দু’টি পুকুরই ২০০৮-২০১২ ও ২০০৩-২০১৩ সাল অবধি নিজের নামে নিজ নিয়েছিলেন সনাতনবাবু। পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ হিসাবে যা বিধিভঙ্গের সামিল।”
ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, শৈলেনবাবুর আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলাশাসক জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তদন্তে দু’পক্ষকে শুনানিতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিলেও সনাতনবাবু হাজির হননি। পঞ্চায়েত আইনে তাঁর বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ হতে পারে বলে সনাতনবাবুকে সতর্কও করা হয়েছিল। সনাতনবাবু অবশ্য বলেন, “আমার বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগ ঠিক নয়। অসুস্থতার জন্যই শুনানিতে যেতে পারিনি। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যপদ থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি। অন্য কোনও ব্যাখ্যা অর্থহীন।” বিডিও (মানবাজার১ ব্লক) সায়ক দেব বলেন, “সনাতনবাবু শারীরিক অসুস্থতার কারণে পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন, এই তথ্য পঞ্চায়েত সমিতির সমস্ত সদস্যকে শুক্রবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।” মানবাজার ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নীলিমা মান্ডি জানান, সমিতির মোট সদস্য ২৫। সিপিএমের ২০ ও তৃণমূলের ৫ জন সদস্য রয়েছেন। দলের দাবি, সনাতনবাবু পদত্যাগ করলেও ক্ষমতার ভারসাম্যে কোন বদল হচ্ছে না।
নতুন ভবন। পুরুলিয়া জেলা গ্রামোন্নয়ন দফতরের নতুন ভবনের উদ্বোধন হল। শনিবার জেলা প্রশাসনিক ভবনের উল্টোদিকে পাঁচতলা এই নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি প্রকল্প দফতরের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিলাসীবালা সহিস, জেলাশাসক অবণীন্দ্র সিংহ, বিধায়ক কেপি সিংহ দেও প্রমুখ। |