মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা নববর্ষে রাজ্যবাসীকে জোড়া ‘উপহার’ দিয়েছেন বলে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর কথায়, “এক দিকে, মুখ্যমন্ত্রী নববর্ষে রাজ্যবাসীকে এসএমএস-এ শুভেচ্ছা বাণী শোনাচ্ছেন। অন্য দিকে দুর্গাপুরের সরকারি অনুষ্ঠানে যুবক-যুবতীদের চাকরি দিতে পারব না বলে ঘোষণা করেছেন। তাঁদের চাকরি খুঁজে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী নববর্ষে রাজ্যবাসীকে ওই দুই উপহার দিয়েছেন!” এই সূত্রেই বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, “যদিও বিধানসভা নির্বাচনের আগে ও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে তিনি লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতীদের চাকরি দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁর ওই প্রতিশ্রুতি যে ভাঁওতা ছিল, তাঁর এই ঘোষণা থেকেই তা প্রমাণিত।” |
বস্তুত, মুর্শিদাবাদের আমতলায় রবিবার ডিওয়াইএফআই-এর ১৯ তম জেলা সম্মেলনের সমাবেশে সূর্যবাবু মন্তব্য করেছেন, মমতার মতো ‘অকেজো’ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসী এর আগে পাননি! তিনি বলেন, “গত ১১ মাস ধরে যে ভাবে সরকার চলছে, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অকেজো মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসী এর আগে পাননি।” বিরোধী দলনেতা নিজেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রী বা কোনও মন্ত্রীর নাম সাধারণত বলি না। কিন্তু তাঁদের যে ভূমিকা, তাতে চোখ বন্ধ করে থাকা যাচ্ছে না! মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীকে ঘুমিয়ে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু দিনের বেলায় কী করে ঘুমিয়ে থাকব?” মুখ্যমন্ত্রীর থানায় চলে যাওয়া, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি খুনের ঘটনায় তৃণমূলেরই কর্মী-সমর্থকদের অভিযুক্ত হওয়া, পুলিশের উপরে তৃণমূলের চড়াও হওয়া এই রকম নানা ঘটনার দৃষ্টান্ত টেনে সূর্যবাবুর মন্তব্য, “এ সবই চোখ বন্ধ করে থাকতে হবে? প্রতিবাদ করলেই যে মুখ্যমন্ত্রী ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাবেন!”
মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন দুর্নীতির প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটে আছেন বলেও বিরোধী দলনেতা সমালোচনা করেছেন। সূর্যবাবুর প্রশ্ন, অবসরপ্রাপ্তদের ফের চাকরিতে বহাল করার জন্য বাম সরকারের বিরুদ্ধে তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা সরব হয়েছিলেন। তা হলে এখন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কী করছেন? তৃণমূলের এই সব কাজের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেছেন, “তবে সব ক্ষেত্রে বামফ্রন্টের পতাকা হাতে নিয়ে প্রতিবাদ করতে হবে, এমনটা কথা নয়। কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে, হাতে হাত দিয়ে প্রতিবাদ করুন!” |