রহস্যজনক ভাবে আগুনে পুড়ে মারা গেলেন মা ও মেয়ে। নাম গীতা মিত্র (৪০) ও তনুশ্রী মিত্র (৯)। বাড়ি ধুবুলিয়ার বাজার কলোনিতে। আগুনে পুড়ে গিয়েছেন গীতাদেবীর স্বামী স্বপন মিত্রও। তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শুক্রবার ভোর রাতে স্বপনবাবুর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন পরিবারের অন্যেরা। কৃষ্ণনগর দমকলের ওসি হরলাল সরকার বলেন, “আগুন লাগার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। তব ঘরের ভেতর তীব্র কেরোসিন তেলের গন্ধ পেয়েছি।” প্রাথমিক তদন্তে পুলিশেরও অনুমান, কেরোসিন তেল থেকেই আগুন লেগেছে। মৃতদেহেও কেরোসিন তেলের গন্ধ ছিল বলে জানা গিয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমণ মিশ্র বলেন, “আগুনে পোড়া মা ও মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ ময়না-তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।” |
তবে এটা নিছকই দুর্ঘটনা নাকি এর পেছনে অন্য কোনও কারণ আছে তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। ঘটনার বিশ্লেষণে উঠে আসছে নানান প্রশ্ন। এ দিন গীতাদেবী তাঁর ছোট মেয়ে তনুশ্রীকে নিয়ে ঘরে শুয়েছিলেন। বেশ কয়েকদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। আর ঘরের বাইরের বারান্দায় ছিলেন তাঁর স্বামী তপনবাবু। মাসখানেক আগে দুটো অস্ত্রোপচার হওয়ার পর থেকে বাইরেই শোন তিনি। পাশের ঘরেই পরিবার নিয়ে থাকেন স্বপনবাবুর ভাই তপনবাবু। শুক্রবার ভোরে স্বপনবাবুর চিৎকার শুনে প্রথমে তাঁরাই ছুটে আসেন। পুলিশ জানিয়েছে, আগুন নেভার পরে দেখা যায় খাটের উপর তনুশ্রী আর মেঝেতে তার মা পড়ে আছে। ঘরের কোণায় মিলেছে কিছুটা কেরোসিন তেল সমেত একটি ব্যারেলও। এমনকী ঘরে স্টিলের আলমারিও বেঁকে গিয়েছে। আর তাতেই প্রশ্ন উঠছে এর মধ্যে প্লাস্টিকের ব্যারেলটা কীভাবে অক্ষত থাকল? তপনবাবুকে প্রশ্ন করে জানা যায়, “আমাদের পরিবারে কোনও অশান্তি ছিল না। দাদার সঙ্গে খুবই ভালো সম্পর্ক। তাও কীভাবে কী হয়ে গেল বুঝতে পারছিনা।” তপনবাবুর স্ত্রী বলেন, “দাদার চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। ছুটে গিয়ে দেখি ঘরে দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। দাদাও অনেকটা পুড়ে গিয়েছে। |