|
|
|
|
জট কাটল, প্রধান হলেন শম্ভুনাথ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • লালবাগ |
মুর্শিদাবাদ-লালবাগ পুরসভার নতুন পুরপ্রধান হলেন কংগ্রেসের শম্ভূনাথ ঘোষ। শুক্রবার সকালে পুরসভার কনফারেন্স হলে ১৫ জন কাউন্সিলরের সমর্থনে পুরপ্রধানের দায়িত্ব নেন তিনি। গত পুরভোটে বামফ্রন্টের
|
শম্ভুনাথ ঘোষ।
নিজস্ব চিত্র। |
‘হেভিওয়েট’ প্রার্থী টানা ৩৫ বছরের কাউন্সিলর ফরওয়ার্ড ব্লকের সুরজিত বসাককে হারিয়ে তিনি ১৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেসের প্রতীকে জয়ী হয়েছিলেন। কংগ্রেসের ওই ‘জায়ান্ট কিলার’ কাউন্সিলরকে পুরপ্রধান করে জেলা কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী যে মাস্টার স্ট্রোক দিলেন, তাতে সাময়িক ভাবে ধরাশায়ী বিবাদমান দু-পক্ষের ১৫ জন কাউন্সিলর।
অধীর বলেন, “নির্লোভ-নিরহঙ্কারী-সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশতে পারে এবং সবচেয়ে বড় কথা কাজ করার মানসিকতা রয়েছে বলেই দীর্ঘ দিনের কংগ্রেস কর্মী শম্ভুনাথ ঘোষকে মুর্শিদাবাদ-লালবাগের পুরপ্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
নতুন পুরপ্রধান কে হবেন, তা জানতে অবশ্য এ দিন সকাল থেকেই পুর-কাযার্লয়ের সামনে স্থানীয় কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের ভিড় দেখা যায়। ওই ভিড় ঠেলে বহরমপুরের পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য পুরসভায় পৌঁছন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাস। দোতলায় পুরপ্রধানের ঘরে ১৫ জন কাউন্সিলরকে ডেকে প্রত্যেকের হাতে অধীরবাবুর পাঠানো খাম তুলে দেন তিনি। এর পরে কনফারেন্স হলে পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসারের উপস্থিতিতে নতুন প্রধান হিসেবে শম্ভূনাথবাবুর নাম প্রস্তাব করেন বিশ্বজিৎ ধর, তা সমর্থন করেন সৌমেন দাস। বাকি কাউন্সিলর তাতে সায় দেন। এরই মধ্যে নির্দল কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ ধর আচমকা সভার রেজিলিউশন খাতা নিয়ে চলে যান বলে অভিযোগ। তত ক্ষণে নীলরতনবাবুরা বহরমপুরের ফিরে গিয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা ফের লালবাগে ফিরে আসেন। লালবাগ মহকুমা কংগ্রেস কার্যালয়ে তলব করা হয় বিশ্বজিৎবাবুকে। ‘নতুন পুরপ্রধানকে মানি না’, ‘বিশ্বজিৎ ধরকে পুরপ্রধান করতে হবে’ বলে স্লোগান দিতে ধিতে অনুগামীদের নিয়ে ওই কার্যালয়ে ঢোকেন বিশ্বজিৎ। পরে অবশ্য আলোচনায় তাঁরা শম্ভুবাবুকে মেনে নেন। পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার অনিলকুমার মণ্ডল বলেন, “সরকারি ওই খাতা দেখার নাম করে বিশ্বজিৎ ধর তা নিয়ে চলে গিয়েছিলেন। প্রায় দেড় ঘন্টা পরে ওই খাতা অবশেষে ফেরত দেন তিনি।”
অধীরবাবু বলেন, “আদর্শের জায়গা থেকে আমি কংগ্রেস দল করি। কিন্তু ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে কেউ যদি দলকে ব্যবহার করার চেষ্টা করলে তা কোনও ভাবে বরদাস্ত করা হবে না। ফলে পুরপ্রধান মনোনয়নের ভার আমার উপরে ছেড়ে দেওয়ার পরে সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করাটা দুর্ভাগ্যজনক। এছাড়াও সরকারি রেজ্যুলেশন খাতা নিয়ে গিয়ে রেখে দেন যাঁরা, তাঁরা ঠিক কাজ করেননি।” |
|
|
|
|
|