নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কোচ বদল নিয়ে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান নয়, ময়দানের ছোট ক্লাবগুলোর অধিকাংশই এ বার অনুসরণ করতে চাইছে ডেম্পোকে। আর্মান্দো কোলাসো দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন ডেম্পোয়। ঠিক সেই মডেল মেনে কলকাতা প্রিমিয়ার ডিভিশনের ছোট ক্লাবগুলো তাদের কোচকে ধরে রাখতে মরিয়া।
ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডান এবং প্রয়াগ ইউনাইটেডকে বাদ দিলে বাকি প্রত্যেকটা ক্লাবই এখন আর্থিক সংকটে ভুগছে। তার ওপর আই এফ এর ব্যর্থতায় স্থানীয় লিগ দীর্ঘ মেয়াদি হয়ে যাওয়ায় আরও সমস্যায় পড়েছেন ক্লাব কর্তারা। তবে এত ঝড়-ঝাপটা সত্ত্বেও কোচের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন না কেউই। বরং বেশির ভাগ দলই পুরনো কোচকে সামনে রেখে নতুন বছরের যাবতীয় পরিকল্পনা সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। যেমন আই লিগের দল চিরাগ কেরলের হয়ে কোচিং করাতে চলে গেলেও বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যকে ছাড়তে চাইছে না জর্জ টেলিগ্রাফ। পিয়ারলেস ছাড়ছেন না শঙ্কর মৈত্র। রঘু নন্দীও এরিয়ানে থাকছেন। পুলিশ এ সি-তে শিশির ঘোষ, সাব্বির আলি সাদার্ন সমিতিতে, প্রভাত হালদার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে এবং অরুণ ঘোষ কালীঘাট মিলন সমিতিতে আগের মতো থাকছেন।
এ সবের মধ্যে অবশ্য ব্যাতিক্রম কিছু দল হল কালীঘাট, ভবানীপুর, টালিগঞ্জ এবং কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট। কালীঘাটের নতুন কোচ হয়েছেন প্রশান্ত চক্রবর্তী। প্রথম ডিভিশনের ক্লাব কলকাতা পুলিশের নতুন কোচ তমাল সেন। যদিও টালিগঞ্জ, ভবানীপুর এবং পোর্ট ট্রাস্টে এখনও নতুন কোচ নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। শোনা যাচ্ছে, পরের মরসুমে হোসে রামিরেজ ব্যারেটোকে কোচ হওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন ভবানীপুর কর্তারা। যদিও ব্যারেটো আরও দু’তিন বছর খেলা চালিয়ে যেতে আগ্রহী।
সার্দার্ন সমিতির প্রধান নাইজিরিয়ান স্টপার ইচের সঙ্গে মোহনবাগানের চুক্তি পাকা। পরের সপ্তাহেই ইতালি থেকে ট্রায়াল দিতে আসছেন তিন ফুটবলার। কোচ সাব্বির আলির পছন্দ হলে, দু’জন ফুটবলারকে রেখে দেওয়া হবে। |