|
|
|
|
খড়্গপুর সাব-স্টেশন |
আলোচনায় সমস্যা মেটানোর পরামর্শ বিদ্যুৎ বণ্টন কর্তার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সাবস্টেশন নিয়ে সমস্যা সমাধানে আলোচনার উপরেই জোর দিলেন বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজেশ পাণ্ডে। শুক্রবার তিনি মেদিনীপুরে এক প্রশাসনিক বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত, বিদ্যুৎ দফতরের জোনাল ম্যানেজার বুদ্ধদেব ঘোষ, রিজিওন্যাল ম্যানেজার সনৎ বিশ্বাস প্রমুখ। খড়্গপুরে নতুন একটি ৪০০ কেভি সাব-স্টেশন তৈরির কাজ চলছে। কিন্তু কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। ওই সাব-স্টেশন থেকে অন্যত্র সংযোগ নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে জমিতে খুঁটি পুঁততে হবে। এখানেই বেঁকে বসেছেন একাংশ গ্রামবাসী। ফলে ওই স্টেশন চালু অসম্ভব হয়ে উঠেছে। এই সমস্যা-সহ জেলায় গ্রামীণ বিদ্যুদয়নের কাজ কেমন চলছে, কী কী সমস্যা হচ্ছে, শুক্রবারের বৈঠকে সেই সব নিয়েই আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত হয়েছে, সাব-স্টেশন সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতে আগামী সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট এলাকার পঞ্চায়েত কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করবেন খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সুদত্ত চৌধুরী। |
|
বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে বৈঠক । নিজস্ব চিত্র। |
মেদিনীপুরের ধর্মার কাছে ২২০ কেভি সাব-স্টেশন রয়েছে। আরামবাগের ৪০০ কেভি সাব-স্টেশন থেকে এখানে বিদ্যুৎ আসে। জেলায় নতুন একটি ৪০০ কেভি সাব-স্টেশন তৈরির দাবি উঠেছিল। পরিস্থিতি দেখে খড়্গপুরে সেই সাব-স্টেশন তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো কাজ শুরু হয়। এখন সাব-স্টেশন তৈরির কাজ প্রায় শেষ। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর, ওই ৪০০ কেভি সাব-স্টেশন থেকে ধর্মার কাছে ২২০ কেভি সাব-স্টেশনের সংযোগ আনতে হবে। কিন্তু, খড়্গপুর-২ নম্বর ব্লকের চাঙ্গুয়াল, চকমকরামপুর, লছমাপুর প্রভৃতি এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশ তাঁদের জমিতে খুঁটি পোঁতার ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছেন। ফলে কাজ সে ভাবে এগোচ্ছে না। আগেও এই নিয়ে ব্লক ও মহকুমাস্তরে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সমস্যা মেটানো সম্ভব হয়নি। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবারের বৈঠকে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট এলাকার পঞ্চায়েত কর্তারাও। তাঁরাও অবশ্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন। জানান, কাজ এগোনোর ক্ষেত্রে যাতে বাধা পেতে না-হয়, সেই বিষয়টি তাঁরা দেখবেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলবেন। অন্য দিকে, গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন প্রকল্পের বিষয়টি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। জেলায় এখন স্বাভাবিক গতিতে এই প্রকল্পের কাজ এগোচ্ছে বলে বিদ্যুৎ দফতরের কর্তারা চেয়ারম্যানকে জানান। চেয়ারম্যানও কাজের খতিয়ান দেখে সন্তুষ্ট হন। তবে বিষয়টির দিকে আরও নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন। জেলার জঙ্গলমহল এলাকার ১১টি ব্লকের ২২৭৯টি মৌজায় গ্রামীণ বিদ্যুদয়নের কাজ হওয়ার কথা। মাঝে একটি সংস্থা কাজ এগোতে গড়িমসি করে বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য আলোচনার মাধ্যমে সেই সমস্যা মিটেছে। |
|
|
|
|
|