|
|
|
|
খুলছে সুতোকল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শেষমেশ আলোচনার মাধ্যমেই জট কাটল। বর্ষবরণের আগের দিন খুশির খবর পেলেন মেদিনীপুরের তাঁতিগেড়িয়ার সুতোকলের শ্রমিকরা। দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর আজ, শনিবার থেকে খুলে যাচ্ছে ওই সুতোকল। শুক্রবার কলকাতায় অ্যাডিশনাল লেবার কমিশনার অরুণ ভট্টাচার্যের দফতরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, শনিবার থেকে কারখানা খুলবে। মালিক ও শ্রমিকপক্ষ নিজেদের ‘অনড়’ অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসার ফলেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছনো গিয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র জেলা নেতা স্বাধীন দাস। বৈঠকের পর তিনি বলেন, “আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। শনিবার থেকেই কারখানা খুলবে। শ্রমিকরা কাজে যোগ দেবেন।” বিকেলের পরেই এ খবর এসে পৌঁছয় মেদিনীপুরে। স্বস্তি দেখা দেয় শ্রমিকদের মধ্যেও। কারখানার এক শ্রমিকের কথায়, “দু’সপ্তাহ ধরে কারখানা বন্ধ থাকায় সমস্যা হচ্ছিল। কারখানা খোলার খবর আমাদের কাছে যেন নতুন বছরের উপহার।”
শ্রমিক ও মালিকপক্ষের বিরোধের জেরে গত ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল মেদিনীপুর শহরের তাঁতিগেড়িয়া এলাকার সুতোকলটি। স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ৮০০ শ্রমিক এখানে কাজ করেন। মজুরি বৃদ্ধি, বকেয়া ভিডিএ (ভ্যারিয়েবল ডিএ) মেটানো, ওয়ার্কলোড কমানো-সহ নানা দাবিতে এখানে আন্দোলন করছিলেন শ্রমিকরা। নেতৃত্বে ছিল আইএনটিটিইউসি। ২৬ তারিখ কারখানার গেটে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্কে’র নোটিস ঝুলিয়ে দেন মালিকপক্ষ। কারখানা-গেটের সামনে আবার বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করেন শ্রমিকরা। এর ফলে সমস্যায় পড়েন কর্তৃপক্ষ। কারখানা চত্বরের মধ্যে থাকা আবাসনে অফিসারদের প্রায় ৩০টি পরিবার থাকে। গেটের সামনে ব্যারিকেড তৈরি হওয়ায় ওই আবাসিকদের সমস্যা হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবারের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন সকলে। বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ায় শনিবার থেকেই কারখানা খুলে যাচ্ছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খড়্গপুরের ডেপুটি লেবার কমিশনার তীর্থঙ্কর সেনগুপ্তও। তিনি বলেন, “আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হয়েছে।” |
|
|
|
|
|