পাঁচ টাকায় মধ্যাহ্ন ভোজনের সরকারি ব্যবস্থা চালু হয়েছিল বছর খানেক আগেই। এ বার রাজ্যবাসীর খাদ্যের অধিকার সুনিশ্চিত করতে আইনি রক্ষাকবচ চাইছে ঝাড়খণ্ড সরকার। রাজ্য বিধানসভায় ‘রাইট টু ফুড’ আইন পেশ করার প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বলে আজ মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডার উপদেষ্টা মণ্ডলীর তরফে জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় সূত্রের খবর, অজুর্ন মুন্ডা সরকারের কাজকর্মের অগ্রাধিকারের তালিকার শীর্ষে রয়েছে নারী শিক্ষার পাশাপাশি রাজ্যের মানুষের খাদ্য-নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্য পূরণে বছর খানেক ধরে রাজ্য সরকার পরের পর প্রকল্প হাতে নিয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে ধান-সহ সামগ্রিক কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থায়।
নারী শিক্ষা সুনিশ্চিত করতে গত নভেম্বর মাসে চালু করা হয়েছে ‘লাডলি-লক্ষ্মী যোজনা’। এটি মূলত প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের জন্য একটি বিমা প্রকল্প। এই বিমার কিস্তির টাকা বহন করবে রাজ্য সরকার। কয়েক বছর অন্তর বিমার ম্যাচিউরিটির টাকা তুলে দেওয়া হবে ছাত্রীদের হাতে। যাতে স্কুলের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে কোনও ছাত্রীকে আর্থিক সঙ্কটে পড়তে না-হয়।
ঠিক একই ভাবে রাজ্যের দরিদ্র মানুষের মুখে সস্তায় দৈনিক অন্তত এক বেলার খাদ্য তুলে দিতে চালু হয়েছে ‘মুখ্যমন্ত্রীর ডাল-ভাত যোজনা’। পাঁচ টাকার বিনিময়ে প্রতি দিন দুপুরে ডাল-ভাতের সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে নানান সব্জির পাঁচ মিশালি একটি তরকারি। রাজ্যের ২৪ টি জেলার প্রতিটি ব্লকে স্বয়ম্ভর মহিলা গোষ্ঠী এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার যৌথ উদ্যোগে চলছে ডাল-ভাত সরবরাহর কেন্দ্র। এই কেন্দ্রগুলিতে দৈনিক লক্ষাধিক মানুষ দুপুরের খাবার খাচ্ছেন।
‘ডাল-ভাত যোজনা’-র সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে এ বার রাজ্যবাসীকে ‘রাইট টু ফুড’-এর আইনি রক্ষাকবচ দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। খাদ্যের অধিকারের সঙ্গে পুষ্টিকর খাবারে দিকেও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা মণ্ডলী সূত্রের খবর, রাজ্য বিধানসভায় ‘রাইট টু ফুড’ আইন পেশ করার বিষয়ে ইতিমধ্যেই আইনি পরামর্শ নেওয়া শুরু হয়েছে। রাজ্য বিধানসভায় ‘রাইট টু ফুড’ বিল পেশ করা নিয়ে কোনও রকম বিতর্ক কিংবা আইনি জটিলতা এবং প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় আইনের সঙ্গে কোনও বিরোধ দেখা দিতে পারে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |