গান গাওয়া এক আজব লন্ঠন আবিষ্কার করে সকলকে চমকে দিলেন অনন্তনাগ জেলার সঙ্গম গ্রামের এক চাষি। মহম্মদ মির নামে ওই চাষির প্রথাগত কোনও শিক্ষা নেই। সম্প্রতি তিনি কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক বিজ্ঞান সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই মির তাঁর গান গাওয়া লন্ঠনের অভিনব ক্ষমতার কথা সকলকে শোনান। লন্ঠনটির বিশেষত্ব হল, ব্যাটারি-চালিত এই আলোয় রিমোট সেন্সর লাগানো আছে। কেউ বা কারা এই এর কাছাকাছি এলেই অ্যালার্মের মতো বাজতে শুরু করবে লন্ঠন। অর্থাৎ কি না একাধারে আলো আর অ্যালার্ম।
তাঁর মতো এক চাষি মাথায় হঠাৎ করে এমন লন্ঠন বানানোর চিন্তা এল কী ভাবে? সে গল্পও বেশ চমকে যাওয়ার মতো। মাঝেমধ্যেই সেনাবাহিনী তল্লাশি চালায় মিরদের গ্রামে। রোজ রাতে পোশাক ছাড়া শোওয়ার অভ্যেস মিরের। রাতে ঘুম ভেঙে প্রায়ই তাঁকে হেনস্থা হতে হয় সেনার হাতে। কী ভাবে এই হয়রানি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, ভাবতে ভাবতেই বুদ্ধিটা খেলে যায় মিরের মাথায়। এমন একটা অ্যালার্ম বানাতে হবে, যা আগে থেকেই সতর্ক করে দিতে পারবে কাছাকাছি কেউ রয়েছে কি না।
কাশ্মীরে টর্চ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। সাধারণ মানুষকে জঙ্গি ভেবে যাতে ভুল না হয়ে যায়, তাই সেনার এই নির্দেশিকা। এ দিকে, তেলের লন্ঠনে অনেক ঝামেলা। তেল ফুরিয়ে গেলে বা জোর হাওয়ায় আগুন নিভে যেতে পারে। তাই বাজার থেকে ব্যাটারি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে এনে নিজেই লন্ঠন বানান মির। তার পর লণ্ঠনে লাগিয়ে দেন রিমোট সেন্সর। মিরের দাবি, রাতে লন্ঠন ছাড়া বেরলে বা লণ্ঠনের আলো নিভে গেলে প্রায়শই বিপদে পড়তে হয় গ্রামবাসীকে। সঙ্গে আলো না থাকলে সেনার হাতেও হেনস্থা হতে হয়। তাঁর তৈরি ব্যাটারির লন্ঠনে এ বার অনেকেই উপকৃত হবেন। |