স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে আলোচনা শিবির হল আলিপুরদুয়ার অরবিন্দনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে। বুধবার ওই শিবির হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নন্দিতা ঘোষ জানান, সর্বশিক্ষা মিশন ও ইউনিসেফের নির্দেশে ৭-১৩ এপ্রিল স্কুলে ছাত্রীদের নিয়ে স্বাস্থ্য সচেতনা শিবির আয়োজন করার জন্য বলা হয়েছে। এদিন স্কুলের ছাত্রীরা স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য প্ল্যাকার্ড নিয়ে র্যালি করে আলিপুরদুয়ার শহরে। তা ছাড়া এদিন স্কুলে দুজন চিকিৎসক ভাস্কর সেন ও সৌম্যজিৎ দত্ত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “আমরা বেশ কয়েকটি ছাত্রীর বাড়ি গিয়েছিলাম, যাদের শৌচাগার নেই। তাদের স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি বিপিএল নম্বর সংগ্রহ করেছি। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীরা এদিন পরিস্কার পরিচ্ছনতা নিয়ে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।”
|
স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে প্রশ্নমালা |
কোথাও বা পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য-পরিকাঠামো নেই। কোথাও কোথাও পরিকাঠামো থাকলেও তার সদ্ব্যবহার হয় না বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে রাজ্য জুড়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা কার্যত বেহাল। এই অবস্থায় স্বাস্থ্যোদ্ধারে একটি সাধারণ প্রশ্নমালা তৈরি করেছে স্বাস্থ্য নিয়ে রাজ্য সরকারের গড়া বিশেষজ্ঞ কমিটি। ওই কমিটির চেয়ারম্যান সুব্রত মৈত্র বুধবার জানান, তাঁদের প্রশ্নমালায় থাকছে, কোথায় পরিকাঠামোর ঘাটতি রয়েছে, কোথায় পরিকাঠামো থাকলেও তা ব্যবহার হয় না, কোথায় অসাধু চক্র হাসপাতাল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, কোন হাসপাতালে চিকিৎসকেরা রোগীদের সময় দেন না ইত্যাদি। প্রশ্নগুলি করা হবে রোগী, চিকিৎসক এবং হাসপাতালের প্রশাসকদের। তাঁদের জবাব থেকেই ঘাটতি ও গাফিলতি জানার চেষ্টা হবে। বিশেষজ্ঞ কমিটি এ দিনই প্রথম বৈঠক বসেছিল। বৈঠকে ওই কমিটির অধীনে ছ’টি সাব-কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাব-কমিটি রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলি ঘুরে এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করবে।
|
স্বাস্থ্য বিষয়ক এক আলোচনা সভা হল কেশিয়াড়ি- ১ চক্রের বনচাটুল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বেলদা রামকৃষ্ণ সারদা আশ্রম ও বনচাটুল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে বুধবারের এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক অংশুমান মিত্র। সভার শেষে আয়োজিত প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতায় ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকেরা যোগ দেন। |