টুকরো খবর
শীঘ্র চলবে জনশতাব্দী
পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ, এখন শুধু ট্র্যাকে নামার অপেক্ষায় জনশতাব্দী এক্সপ্রেস। বুধবার মালিগাঁও থেকে সেরা পুরস্কার জিতে কাটিহারে ফেরার পথে এনজেপি স্টেশনে ওই কথা জানালেন ডিআরএম ভূষণ পটেল। এবার রেল বাজেটে এনজেপি থেকে হাওড়া জনশতাব্দী এক্সপ্রেস চালানোর কথা বলা হয়। কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম বলেন, “জনশতাব্দী এক্সপ্রেসের চালানোর সমস্তরকম পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব তা এনজেপি থেকে চালানো হবে।” তিনি জানান, শতাব্দী এক্সপ্রেস এনজেপি থেকে হাওড়া যেতে ৮ ঘন্টা সময় লাগবে। সকালে ট্রেনটি এনজেপি থেকে হাওড়া যাবে। ওই দিনই হাওড়া থেকে এনজেপি ফিরবে শতাব্দী এক্সপ্রেস। তিনি বলেন, “১৬ ঘন্টায় যাতায়াত হবে। ট্রেন চালু মানুষের অনেক সুবিধে হবে। এখন দার্জিলিং মেলের উপর যাত্রীরা নির্ভরশীল। ফলে সেখানে চাপ বেশি হয়। শতাব্দী চালু হলে সে অসুবিধে দূর হবে।” রেল সপ্তাহ উপলক্ষ্যে সোমবার মালিগাঁও উত্তর-পূর্ব রেলের পাঁচটি ডিভিশন এবং তার কর্মীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাল কাজ করার জন্য পুরস্কার দেন রেল কর্তৃপক্ষ। পাঁচটি ডিভিশনের মধ্যে কাটিহার ডিভিশন সব থেকে ভাল কাজ করার জন্য সেরা পুরস্কার পেয়েছেন বলে জানান ভূষণ পটেল। তিনি আরও জানান, কাটিহার ডিভিশন কমার্সিয়াল, মেকানিক্যাল, সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন, বেস্ট হাসপাতাল, রানিং রুম, ডিজেল শেড এবং ইলেকট্রিক্যালের ক্ষেত্রে পুরস্কার জিতেছে। এ ছাড়াও পৃথক পৃথক ভাবে ভাল কাজের জন্য ১৮ জন আধিকারিক ও কর্মী পুরস্কার পেয়েছেন। ৬ জনকে গ্রপভিত্তিক ভাল কাজের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ভাল কাজের এনজেপি হাসপাতালের চিকিৎসক রাজকিশোর সিংহকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। রেল সূত্রের খবর, রাজকিশোরবাবু এনজেপি রেল হাসপাতালে চোখের চিকিৎসা করেন। তিনি হাসপাতালে যোগ দেওয়ার পর সেখানে চোখের অপারেশনের ব্যবস্থা করা হয়।

পাখির চোখ পঞ্চায়েত ভোট, ডুয়ার্সে সক্রিয় কংগ্রেস
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ডুয়ার্স এলাকার কর্মীদের চাঙ্গা করতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। আগামী ১৯ এপ্রিল আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের সলসলাবাড়িতে কর্মী সম্মেলন করবেন দলের প্রদেশ সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। বুধবার প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বরঞ্জন সরকার জানান, ওই সম্মেলনে আলিপুরদুয়ার মহকুমার সমস্ত ব্লকের কংগ্রেস কর্মীরা উপস্থিত থাকবেন। তিনি বলেন, “হাইকমান্ড জানিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোট হবে কিনা তা পুরোপুরি নির্ভর করবে স্থানীয় নেতা কর্মীদের মতামতের উপরে। আমরা একক ভাবে লড়াই করতে প্রস্তুত।” বস্তুত সলসলাবাড়ির কর্মী সম্মেলন থেকে স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব একক শক্তিতে লড়াই করার কথা স্পষ্ট করে দিতে চান। তাঁরা মনে করছেন জিটিএ ইস্যুতে ডুয়ার্সের রাজনীতিতে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তার প্রভাব পড়বে। বিশ্বরঞ্জনবাবুর কথায়, “তরাই ডুয়ার্সে যে জাতপাতের রাজনীতি শুরু হয়েছে তার প্রভাব পড়বে পঞ্চায়েত ভোটে।” পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আলিপুরদুয়ারকে পৃথক জেলা ঘোষণার দাবিতেও আন্দোলনে নামতে চান কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁরা জানান, এতদিন সিপিএমের বিরোধিতার জন্য পৃথক জেলার দাবি উপেক্ষিত ছিল। জোট সরকার ওই বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। সাধারণ মানুষকে তা বলা হবে। কর্মী সম্মেলনে বিষয়টি প্রদেশ সভাপতিকে জানানো হবে। আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান তথা টাউন ব্লক কংগ্রসের সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আলিপুরদুয়ার মহকুমাকে পৃথক জেলা ঘোষণার দাবি নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টচার্যকে বলা হবে। পৃথক জেলার দাবিতে আন্দোলনে নামব।”

স্টেশন পরিদর্শন
নিউ আলিপুরদুয়ার রেল স্টেশনে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বললেন যাত্রী সাচ্ছন্দ্য কমিটির সদস্য পল্লব কীর্তনীয়া। বুধবার দুপুরে তিনি উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের রেল আধিকারিকদের নিয়ে নিউ আলিপুরদুয়ার রেল স্টেশন পরিদর্শন করেন। পল্লববাবু বলেন, “স্টেশন চত্বরে গাছ লাগানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। স্টেশনের বাইরে বির্স্তীণ এলাকা ফাঁকা পড়ে রয়েছে। সেখানে যাত্রীদের সুবিধের জন্য ট্যাক্সি স্ট্যান্ড করা যেতে পারে। যাত্রীদের রেল পরিষেবা নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। স্টেশনের সৌন্দার্যায়ন নিয়ে কাজ হবে।” উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের সিনিয়র কর্মাশিয়াল ম্যানেজার অলকানন্দ সরকার বলেন, “পল্লববাবুর সঙ্গে রাজাভাতখাওয়া থেকে জয়ন্তী রেলপথ নিয়ে কথা হয়। তিনি বিষয়টি শুনে রেল পথ চালু হলে পযর্টনের প্রসার ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন।”

অবৈধ নির্মাণ-কাজে বাধা, চড়াও পরিষদ সমর্থকেরা
বেআইনি নির্মাণে বাঁধা দেওয়ায় উপপ্রধানের বাড়িতে চড়াও হল এক দল আদিবাসী বিকাশ পরিষদ সমর্থক। বুধবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের বানারহাট থানার বিন্নাগুড়িতে। উপপ্রধান সে সময় বাড়িতে ছিলেন না। ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে পুরো ঘটনা নিয়ে ক্ষমা না-চাইলে ফের তাঁরা চড়াও হবেন বলে জানিয়ে দেন। কংগ্রেস দলের নেতা তথা বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই উপপ্রধানের নাম বলরাম রায়। জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্তোষ পাণ্ডে বলেন, “থানা থেকে আমাকে বিষয়টি বিকাল পর্যন্ত জানানো হয়নি। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিন্নাগুড়িতে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী তাঁর পুরানো কাঠের দোকান ভেঙে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক ঘেঁষে পাকা দেওয়াল তুলছিলেন বলে অভিযোগ। গ্রাম পঞ্চায়েতের নজরে আসার পরে দুপুরে বলরামবাবু ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজে বাঁধা দেন ও রাজমিস্ত্রির কাজের সরঞ্জাম তুলে নিয়ে নিয়ে যান। ওই ঘটনার পর বিকালে ৪০-৫০ জন আদিবাসী বিকাশ পরিষদের সমর্থক উপপ্রধানের বাড়িতে চড়াও হন। বলরামবাবুর বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে তাঁরা গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদ করলে বলরামবাবুর ভাইয়ের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি হয় বলে অভিযোগ। বলরামবাবু বলেন, “যেভাবে আমার বাড়িতে হামলা হয়েছে তা মানা যায় না। লিখিত ভাবে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।”

জখম তিন
দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে জখম হলেন ৩ জন। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে সুকনা পুলিশ ফাঁড়ির রংটংয়ে। কার্শিয়াংয়ের এসডিপিও নিমা শেরপা ভুটিয়া জানান, একটি ছোট গাড়ি দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ির দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে তার সংঘর্ষ হয়। গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। পরে দমকল গিয়ে আগুন আয়ত্বে আনে। জখম গোড়ির চালক ও ওই গাড়ির ২ যাত্রীকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে।

কিনারা হয়নি
৪৮ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও ভক্তিনগরে যুবক খুনের ঘটনার কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। বুধবার জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্তোষ পান্ডে বলেন, “ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা যায়নি।” মঙ্গলবার সকালে প্রকাশনগরে নদীর চর থেকে কৃষ্ণা রায় (৩৫) নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তার গলায় ব্যাগের চেন জড়ানো ছিল। তাঁকে কেউ খুন করে ফেলে রেখে যায় বলে মৃতের পরিবারের অভিযোগ। পুলিশ মামলা রুজু করলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.