|
|
|
|
পুকুর ভরাটের অভিযোগ পুরুলিয়ায়, তদন্তের দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
পুরসভা ও প্রশাসনের নাকের ডগায় পরিকল্পনা করে একটি পুরনো পুকুর ভরাট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুরুলিয়া শহরে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের শেখ বেচুবাই লেনের শেষ প্রান্তে দর্জিগড়িয়া নামে একটি পুরনো পুকুর আছে। বাসিন্দারা জানান, অতীতে এই পুকুরের জল এলাকার মানুষজন ব্যবহারও করতেন। কিন্তু বেশ কিছুকাল ধরে এই পুকুরের জল নোংরা হয়ে যাওয়ায় এলাকার বাসিন্দারা আর জল ব্যবহার করেন না। পুরুলিয়া ১ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সুচন্দন সামন্ত বলেন, “দফতরের নথিতে ওই জায়গা পুকুর বলে উল্লেখ আছে। ৫৯ ডেসিমেল জায়গায় পুকুরটি আছে। তবে ভরাটের অভিযোগ না এলেও খোঁজ নিয়ে দেখব।” |
|
এই পুকুরকে ঘিরে ক্ষোভ। ছবি: সুজিত মাহাতো। |
বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরের মাঝে থাকা এই জলাশয়টিকে সংস্কার না করে পরিকল্পনা মাফিক বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, পুকুরটিতে অল্প জল এখনও আছে। বাকি অংশ মাটি ও আবর্জনায় বুজে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা শান্তি চক্রবর্তী, সুব্রত দত্তরা বলেন, “বাসস্ট্যান্ডের যত নোংরা জল এসে এই পুকুরে পড়ে। পোকামাকড় ও মশার উপদ্রব বাড়ছে। ঘরের মধ্যে পোকামাকড় ঢুকে পড়ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন লোকজনের ঘরে সাপও ঢুকে পড়ছে। ফলে এলাকায় বসবাস করাই দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।” তাঁদের দাবি, “তিন বিঘা জমির উপরে এই পুকুর ছিল। তাই এই পুকুরকে তিনবিঘা পুকুরও বলা হত। কিন্তু এই পুকুরকে ধীরে ধীরে বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই পুকুরটিকে সংস্কার করা হোক।” পুরুলিয়ার পুরপ্রধান তারকেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমার কাছে এখনও এই মর্মে কোনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।” জেলাশাসক অবনীন্দ্র সিংহ বলেন, “কোনও অবস্থাতেই পুকুর ভরাট করা যাবে না। আমি খোঁজ নেব। প্রয়োজনে রিপোর্টও তলব করা হবে।” এ দিকে, ওই পুকুরের মালিক ভবানী মুখোপাধ্যায় বলেন, “পুকুরটির অবস্থা ভালো নয়। বাসস্ট্যান্ড-সহ আশপাশের নোংরা জল পড়ে ওই পুকুরে। তবে আমি মোটেই ওই পুকুর ভরাট করছি না। পুকুরটি সংস্কারের ব্যাপারে এখনও কিছু চিন্তাভাবনা করিনি।” জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক দিলীপকুমার ঘোষ বলেন, “পুকুর কোনও ভাবে বোজানো যায় না। আমরা কাউকে অনুমতিও দিইনি।” |
|
|
|
|
|