|
|
|
|
যাতায়াতে সমস্যা |
কারখানার গেটে বাঁশের ব্যারিকেড |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বাঁশের ব্যারিকেড বানিয়ে কারখানার প্রবেশপথ অবরুদ্ধ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির বিরুদ্ধে। এর ফলে কারখানা চত্বরের আবাসনে থাকা আধিকারিক ও তাঁদের পরিবারের লোকজন সমস্যায় পড়েছেন। ঘটনাটি মেদিনীপুর শহরের একটি সুতোকলের। আইএনটিটিইউসির অবশ্য বক্তব্য, কর্তৃপক্ষই কারখানা বন্ধ করে দিয়েছেন। কারখানা বন্ধ থাকলে তো গেট বন্ধ থাকবেই! অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। ডেপুটি লেবার কমিশনার (খড়্গপুর) তীর্থঙ্কর সেনগুপ্তও বলেন, “বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে বলে শুনেছি। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।” শ্রমিক- মালিক বিরোধের জেরে প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে বন্ধ মেদিনীপুরের ওই সুতোকল। আইএনটিটিইউসির নেতৃত্বে শ্রমিকরা এখানে আন্দোলন করেছিলেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, মালিকপক্ষ তাঁদের উপর নানা অন্যায় দাবি চাপিয়ে দিতে চাইছে। মুখে বললেও আলোচনায় বসার মতো পদক্ষেপ করছে না। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের সময় এক কথা বলছে, কাজের ক্ষেত্রে অন্য পদক্ষেপ হচ্ছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ অবশ্য অভিযোগ মানতে নারাজ। |
|
নিজস্ব চিত্র। |
তাঁদের বক্তব্য, শ্রমিকপক্ষ অন্যায় দাবি করছে। পরিস্থিতি দেখেই এখন কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। তাঁতিগেড়িয়া ‘কেশর মাল্টিয়ার্ন মিল লিমিটেড’ নামের এই সুতোকলে স্থায়ী- অস্থায়ী মিলে প্রায় ৮০০ জন শ্রমিক কাজ করেন। ২৬ মার্চ কারখানার গেটে ‘সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক’-এর নোটিশ ঝোলায় মালিকপক্ষ। সেই থেকে কারখানা বন্ধ। শ্রম দফতর সূত্রে খবর, আগামী শুক্রবার কলকাতায় ফের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক রয়েছে। শ্রমিক-মালিক টানাপোড়েন চলারকালীনই কারখানার গেটের সামনে বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। এর ফলে কারখানায় ঢোকা-বেরোনোর পথ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। কেন এই ব্যারিকেড? আইএনটিটিইউসির জেলা নেতা স্বাধীন দাস বলেন, “মালিকপক্ষ কারখানা বন্ধ করেছেন। কারখানা বন্ধ থাকলে তো গেট বন্ধ থাকবেই!” কর্তৃপক্ষ যাতে কোনও মালপত্র রাতের অন্ধকারে বের করতে না-পারেন, সে জন্যই এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, “এর ফলে কারও সমস্যায় পড়ার কথা নয়। ওরা (মালিকপক্ষ) তো পাঁচিল ভেঙে পিছন দিক দিয়ে ঢোকা-বেরোনোর একটি পথ তৈরি করেছেন।” জানা গিয়েছে, কারখানা চত্বরের আবাসনে গোটা তিরিশেক পরিবার থাকে। গেটের সামনে ব্যারিকেড থাকায় আবাসিকদের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে কারখানার সহ-সভাপতি এস কে মেহেতা বলেন, “আলোচনা চলছে। তার মধ্যেই এই পরিস্থিতি। এর ফলে তো দু’পক্ষের সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে।” আইএনটিটিইউসির যদিও অভিযোগ, শ্রমিকেরা মঙ্গলবার রাতে যখন গেটের সামনে অবস্থানে বসেছিলেন, তখন আধিকারিকেরা তাঁদের হুমকি দেন। কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। |
|
|
|
|
|