বাবার মৃত্যুর পরে ছেলেরা মাকে বাড়ি থেকে বার করে দেবে আর হাইকোর্ট তা দেখবে এটা কিছুতেই হতে পারে না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন বিচারপতি সৌমেন সেন। বৃদ্ধা মাকে বলেছিলেন, তিনি নিজেই ঠিক করবেন বাড়ির কোন অংশে তিনি থাকতে চান। মায়ের সঙ্গে কথা বলে বিচারপতি জেনেছিলেন, রোজগেরে দুই ছেলে একই বাড়িতে থাকলেও মাকে দেখেন না, টাকাপয়সাও দেন না। দুই ছেলেকে নিয়ে মাকে কলকাতা হাইকোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
সেই নির্দেশ অনুযায়ী সল্টলেকের এ-ই ব্লকের ২৫৮ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা ইভা ঘোষ মঙ্গলবার হাইকোর্টে আসেন। হাজির হন দুই ছেলে। ইভাদেবীকে ডেকে পাঠিয়ে কথা বলেন বিচারপতি। তার পরেই নির্দেশ দেন, দুই ছেলেই প্রতি মাসে মায়ের হাতে দু’হাজার করে টাকা দেবেন। মা বাড়ির যে-অংশে থাকবেন, সেটি ছেড়ে রেখে অন্য অংশে থাকবেন দুই ছেলে। বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের খরচ, বাড়ির কর, বিদ্যুতের বিল মেটাতে হবে দুই ছেলেকেই।
বিচারপতি মনে করেন, স্বামীর তৈরি বাড়ি থেকে তাঁর বিধবা স্ত্রীকে বার করে দেওয়াটা সামাজিক ন্যায়বিচারের স্বার্থে মেনে নেওয়া যায় না। যে-কেউ আইনি লড়াই চালাতেই পারে। ছেলেরা নিম্ন আদালতে একটি উইল জমা দিয়ে মৃত্যুর আগে বাবা তাঁদের নামে বড়ি লিখে দিয়েছেন বলে দাবি জানিয়েছিলেন। সেই দাবির সূত্রেই এই মামলা হাইকোর্টে আসে। মাকে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়ার আভাস পেয়ে বিচারপতি মামলার শুরুতেই জানিয়ে দেন, বৃদ্ধা ওই বাড়িতেই থাকবেন। হাইকোর্টের এই নির্দেশ পালিত হচ্ছে না, এমন অভিযোগ পেলে পুলিশকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
|
আদালতের নির্দেশ মেনে ট্রেড লাইসেন্স |
শেষ পর্যন্ত ‘আদালতের গণ্ডি’র মধ্যে থেকেই নন্দরাম মার্কেটের ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল পুরসভা। বুধবার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় কলকাতা পুলিশ, সিইএসসি ও দমকলের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তিনি বলেন, “আগুন লাগার পর থেকে পাঁচতলা পর্যন্ত যে ৫১০ জন ব্যবসায়ী এখনও ব্যবসা চালাচ্ছেন, শুধু তাঁদের ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হবে। তবে তার জন্য দমকলের ছাড়পত্র জমা দিতে হবে।” ২০০৮-এর ১২ জানুয়ারি ওই বাজারে আগুন লাগার পরেই ছ’তলার উপরের বাকি অংশ সিল করে দেওয়া হয়। যদিও সে অংশ ভেঙে ফেলার নির্দেশ আগেই দিয়েছিল আদালত। ‘নন্দরাম মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক সমরকান্তি চৌধুরী বলেন, “আজকের সিদ্ধান্তে আমরা খুশি হইনি। উপরের বন্ধ অংশেও ব্যবসা শুরু করতে দিতে হবে।” |