হলিউডের ধুঁকতে থাকা কিংবদন্তি স্টুডিওকে ফের সাহায্যের হাত ভারতীয় সংস্থার।
স্টিভেন স্পিলবার্গের হাতে তৈরি সংস্থা ড্রিমওয়ার্কস স্টুডিওজ-এ আরও ২০ কোটি ডলার লগ্নি করছে অনিল অম্বানীর রিলায়্যান্স এন্টারটেনমেন্ট। এর আগেও ২০০৯ সালে চুক্তির পর ওই সংস্থায় ৩২.৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছিল তারা। দ্বিতীয় দফায় ফের লগ্নি করা হতে পারে বলেও ঠিক হয়েছিল তখনই। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই বিনিয়োগকে নিছক মালিকানা বৃদ্ধির আতস কাচে দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। বরং তাঁদের মতে, আর্থিক সঙ্কটে ডুবে থাকা ড্রিমওয়ার্কসকে নতুন করে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার অক্সিজেন জোগাবে ভারতীয় সংস্থাটির এই পুঁজি।
জুরাসিক পার্ক, ইটি, শিন্ডলার্স লিস্ট থেকে শুরু করে এই সে দিনের দুনিয়া মাতানো দ্য অ্যাডভেঞ্চার্স অফ টিনটিন। পৃথিবী জুড়ে সাড়া জাগানো এক ঝাঁক ছবি বেরিয়েছে স্পিলবার্গের ঝুলি থেকে। উপচে পড়েছে বক্স অফিস। কিন্তু এমন রূপকথার মতো সাফল্যে অন্তত গত কয়েক বছরে বরাত জোটেনি তাঁর সংস্থা ড্রিমওয়ার্কসের। ১৯৯৪-এ ছবি তৈরি ও বিপণনের জন্য প্রাক্তন ডিজনি প্রেসিডেন্ট জেফ্রি কাটজেনবার্গ এবং মিডিয়া ব্যারন ডেভিড জেফেনের সঙ্গে যৌথ ভাবে যে সংস্থা তৈরি করেছিলেন তিনি।
২০০৯ সালে ড্রিমওয়ার্কসের আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেই শেয়ারের বিনিময়ে ৩২.৫০ কোটি ডলার লগ্নি করে রিলায়্যান্স এন্টারটেনমেন্ট। আরও ৩২.৫০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল জে পি মর্গ্যান-সহ কয়েকটি ব্যাঙ্ক। কিন্তু গত কয়েক বছরে ওই স্টুডিওয় তৈরি বেশ কয়েকটি ছবি মুক্তি পেলেও, তাদের অধিকাংশই তেমন ভাবে সাফল্যের মুখ দেখেনি। কমেছে ব্যবসার বহর। খারাপ হয়েছে মার্কিন সংস্থাটির আর্থিক স্বাস্থ্যও। আর সেই কারণেই অনিল গোষ্ঠীর এই নয়া বিনিয়োগ তাদের কাছে জিয়নকাঠির সামিল বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
তবে রিলায়্যান্স এন্টারটেনমেন্টের এই লগ্নির সঙ্গে অবশ্য প্রত্যাশিত ভাবেই জুড়ে থাকছে শর্তও। যেমন, তারা চায় বর্তমান পরিস্থিতিতে বছরে ৪-৬টি ছবির পরিবর্তে ৩-৫টি ছবি তৈরি করুক ড্রিমওয়ার্কস। যা আসলে খরচ ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটে মুনাফা বৃদ্ধির দাওয়াই বলে মনে করছেন অনেকে। |