একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন গণ্ডগোলের মামলায় ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল বোলপুরের সহকারী দায়রা আদালত। সরকারি আইনজীবী সুপ্রকাশ হাটি বলেন, “বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বুধবার ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। প্রত্যেককে তিন বছর কারাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।” সুপ্রকাশবাবু জানান, ২০০০ সালের ৬ মার্চ রাতে বোলপুর থানার সিয়ান মুসলিম পাড়ায় একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন ওখানকার বাসিন্দা শেখ কাশেমকে লাঠি, রড দিয়ে আক্রমণ করেন ওই এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। পরের দিন সকালে আক্রান্ত হন শেখ সহিদ নামে আরও একজন। দুজনকেই সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। শেখ সহিদের ভাইপো শেখ নিজাই এলাকার এগারো জনের বিরুদ্ধে বোলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের সহকারী দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আক্রান্তরা।
|
মাড়গ্রামের স্কুলে বিক্ষোভ |
প্রধান শিক্ষক-সহ অন্য শিক্ষকদের গরহাজিরা, আসা-যাওয়া-সহ নানা অভিযোগে বুধবার গ্রামবাসী ও অভিভাবকদের একাংশ বিক্ষোভ দেখালেন মাড়গ্রাম থানার দিঘুলি মালপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিক্ষোভ থামাতে স্কুলে আসতে হয় রামপুরহাট উত্তর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক কিশোর মণ্ডলকে। তিনি স্কুল শিক্ষা কমিটিকে শিক্ষকদের হাজিরা দেখার দায়িত্ব দেন। কিশোরবাবু বলেন, “এই স্কুলে সব চেয়ে বেশি ঝামেলা সামাল দিতে হয়েছে। শিক্ষকদের উপস্থিতির হার দেখার জন্য ৬ জনের একটি কমিটি ৩১ মে পর্যন্ত শিক্ষকদের হাজিরার বিষয়টি দেখবে। পাশাপাশি হাজিরা খাতায় শিক্ষকদের অনুপস্থিতির বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষককে। এ ছাড়া, গ্রামবাসী ও অভিভাবকদের নিয়ে গঠিত স্কুল শিক্ষা কমিটি যাতে স্কুলে পঠনপাঠন ঠিক মতো হয় সে দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে।” স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল থেকে প্রায় দু’ঘণ্টা এই বিক্ষোভ চলে। অভিভাবক ও গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামে একটি মাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অথচ শিক্ষকেরা সময় মতো আসেন না। প্রধান শিক্ষকেরা আচরনেও ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের একাংশ। মাঝে মধ্যে শিক্ষকদের গরহাজিরা নিয়ে বাসিন্দা ও অভিভাবকেরা প্রতিবাদ করেন। প্রধান শিক্ষক সুব্রত রায় বলেন, “শিক্ষকদের অনুপস্থিতি নিয়ে যে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, সেটা আমার জানা ছিল না। অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের নির্দেশ মেনে চলব।” তবে গ্রামবাসী ও অভিভাবকদের তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তিনি।
|
সিপিএমের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র ও মহিলা সংগঠনের পক্ষ থেকে বুধবার দু’টি পৃথক স্মারকলিপি দেওয়া হল দুবরাজপুরের বিডিও এবং দুবরাজপুর থানার ওসিকে। ওই সব সংগঠনের বহু সদস্য এ দিন একটি মিছিল করে এসে স্মারকলিপি দেন। ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজের দাবি, গরিবদের বিপিএল তালিকাভুক্ত করা, বিভিন্ন পঞ্চায়েতে আমলাতান্ত্রিক হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবি-সহ মোট ১২ দফা দাবিতে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয় বিডিওকে। অন্য দিকে এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, রাজনৈতিক রং না দেখে নিরপেক্ষ ভাবে ঘটনার তদন্ত করা-সহ ৫ দাফা দাবিতে অন্য স্মারকলিপিটি ওসিকে দেওয়া হয়। দুবরাজপুরের বিডিও গোবিন্দ দত্ত এবং ওসি সৌম দত্ত উভয়েই নিজেদের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয়গুলি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
|
রামপুরহাট কলেজে তদন্তকারী দল |
২০০৭-০৮ আর্থিক বছরে প্রায় দু’লক্ষ টাকার হিসেব কম থাকায় তার তদন্ত করতে বুধবার রামপুরহাট কলেজে এল উচ্চ শিক্ষা দফতরের একটি প্রতিনিধি দল। কলেজের অধ্যক্ষ শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দু’জন প্রতিনিধি এসেছিলেন। তাঁরা বিভিন্ন হিসাব নিকাশ পদ্ধতিগত ভাবে মেনে চলা হচ্ছে কি না সেগুলি তাঁরা দেখেন। পাশাপাশি পঠনপাঠন ঠিক মতো চলছে কি না তারও খোঁজ নেন। সেই সঙ্গে তাঁরা ২০০৭-০৮ থেকে ২০১০-১১ আর্থিক বছরের অডিট রিপোর্ট দেখে যান।” কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিচালন কমিটির সরকারি প্রতিনিধি আব্দুল মফি??কের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দু’জন প্রতিনিধি এ দিন কলেজ পরিদর্শনে আসেন।
|
রামপুরহাট পুরসভার পুরপ্রধান নির্মল বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগপত্র গৃহীত হল বোর্ড অফ কাউন্সিলের সভায়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৬ এপ্রিল নতুন পুরপ্রধান নির্বাচনের জন্য সভা ডাকা হয়েছে। ওই দিনই নতুন পুরপ্রধান শপথ নেবেন।
|
বোলপুর শহরে নেশা জাতীয় দ্রব্যের কারবার অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানাল শহর তৃণমূল। এ ব্যাপারে বুধবার শহর কার্যকরী সভাপতি সুদীপ্ত ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করেন। তাঁরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। |