মেয়ের সঙ্গে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় সদ্য বিবাহিত এক যুবককে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তাঁরই এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। বিষক্রিয়ায় অসুস্থ ওই যুবককে মালদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, ওই যুবকের নাম হেবজুর রহমান। গত সোমবার তাঁর বিয়ে হয়। এদিন ছিল বৌভাতের অনুষ্ঠান। ঘটনার জেরে গোটা এলাকাতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাতিল হয়ে গিয়েছে বৌভাতের অনুষ্ঠানও। মালদহের রতুয়ার খেড়িয়া গ্রামে মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবককে হাত-পা বেঁধে জোর করে মুখে বিষ ঢেলে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত আবু তালেব সপরিবারে ঘটনার পর পালিয়েছে। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “রতুয়ায় নব বিবাহিত এক যুবককে বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।” পুলিশ জানায়, সোমবার পেশায় কৃষক হেবজুরের সঙ্গে রতুয়ার বাবলাবোনা এলাকার মুরসেহা খাতুনের সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় নববধূকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন হেবজুর। হেবজুরের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাত তিনটা নাগাদ বাথরুমে যান হেবজুর। দীর্ঘক্ষন বাদেও স্বামী না ফেরায় প্রথমে নিজেই বাথরুমে গিয়ে খোঁজ করেন নববধূ মুরসেহা। সেখানে স্বামীকে না পেয়ে তিনি বাড়ির লোকেদের ঘটনার কথা জানান। পরে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বাঁশঝাড়ের পাশে হেবজুরকে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর হাত-পা ছিল মাফলার দিয়ে বাধা ছিল। মুখে কাপড় গোঁজা ছিল। ওই যুবকের পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, মুখ থেকে কাপড় সরাতেই মুখ থেকে গ্যাঁজলা বার হতে থাকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন হেবজুর জানায়, বাথরুমে যাওয়ার সময় ছয়জন তাঁকে মুখে কাপড় গুঁজে তুলে নিয়ে যায়। প্রত্যেকের মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। তাদের মধ্যে আবু তালেব ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আবু তালেব একসময় তার মেয়ের সঙ্গে হেবজুরের বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তাতে রাজি হয়নি হেবজুরের পরিবার। সেই রাগেই এই ঘটনা বলে ওই যুবকের পরিবারের অভিযোগ। হেবজুরের বাবা আবদুল হাই বলেন, “আমাদের অমতের পাশাপাশি ওই বিয়েতে আবু তালেবের মেয়েই রাজি ছিল না। পরে ছেলের অন্যত্র বিয়ে ঠিক করি। কিন্তু ওরা এই ভাবে আমার সর্বনাশ করতে ভাবতেও পারছি না। পুলিশকে দোষীদের ধরতে বলেছি।” আবু তালেবের সঙ্গে আর পাঁচজন কে ছিল তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। |