গ্রামবাসীদের বাধায় উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ বন্ধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মথুরাপুর |
ইট-বালি সিমেন্টের গুণগত মান ঠিক না হওয়ার অভিযোগে চার মাস ধরে বন্ধ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণ কাজ। মথুরাপুর-১ ব্লকের লক্ষ্মীনারায়ণপুর উত্তর গ্রাম পঞ্চায়েতের পানাপুকুর গ্রামের ওই নির্মাণ কাজ মূলত থমকে রয়েছে গ্রামবাসীদের বাধায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সরকার ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ অর্থ দিলেও উপকরণগুলির গুণগত মান ঠিক না হওয়ায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।
২০০৭ সালে গ্রামের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির জন্য ওই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু ভবন নির্মাণের জন্য উপযুক্ত জমি না পাওয়ায় গ্রামের কারোও বাড়িতে বা ক্লাব ঘরেই চলত কাজকর্ম। বছর খানেক আগে ওই গ্রামের ছাত্রার মোল্লা ভবন নির্মাণের জন্য গ্রামের শেষ প্রান্তে ১০ কাঠা জমি দান করেন। ২০১১ সালে ভবন তৈরির জন্য ১২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার অনুমোদনও হয়। এরপর দোতলা ওই ভবনের একতলা পর্যন্ত নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ার পরে গ্রামবাসীরা দাবি করেন ভালো মালমশলা দিয়ে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে না। তাঁদের বাধায় বন্ধ হয়ে যায় ঠিকাদারের কাজ। বাধ্য হয়ে এখন কাজ চালাতে হচ্ছে স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়ির বারান্দায়। অথচ ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হলে উপকৃত হবেন তিললান, রাধাকান্তপুর, পানাপুকুর-সহ চার থেকে পাঁচটি গ্রামের ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। |
পানাপুকুর গ্রামের বাসিন্দা ও লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএমের সদস্য ইউনিস আলি লস্কর জানান, আমার বাড়ির পাশেই ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। প্রথম থেকেই দেখছি ঠিকাদার ঠিকমতো বালি, সিমেণ্ট না দিয়েই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকী যে ঢালাই দেওয়া হয়েছে তার কয়েকটি অংশ ইতিমধ্যেই ভেঙে গিয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের সুবোধ হালদার জানান, ঠিকাদার সঠিক মালপত্র দিয়ে কাজ করছে না বলে গ্রামবাসীরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। আবার কাজ শুরু করতে হলে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে। বিষয়টি ব্লক আধিকারিককে জানিয়েছি। তিনি ওখানে গিয়েছিলেনও।” মথুরাপুর-১ ব্লকের বিডিও দিপ্তার্ক বসু বলেন, “গ্রামবাসী এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত কাজ শুরু করার ব্যবস্থ্য নেওয়া হচ্ছে।” |