ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে বসিরহাটে ফসলের বড় রকমের ক্ষতি হয়েছে। মহকুমা জুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক হাজার বাড়ি। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় নদী ভাঙন অথবা বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। অনেক জায়গাতেই বাঁধ ছাপিয়ে জল ঢুকেছে গ্রামে। বহু গাছ ভেঙে পড়েছে। বসিরহাটের মহকুমাশাসক শ্যামল মণ্ডল বলেন, “প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, মহকুমায় এক হাজারের উপর বাড়ি আংশিক এবং ২২৫টি বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্লকগুলির চাহিদা অনুযায়ী পলিথিন পাঠানো হচ্ছে।” |
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ঝড়ে সব থেকে ক্ষতি হয়েছে বোরো ধান, আম এবং বিভিন্ন সব্জির। সংগ্রামপুর শিবহাটি পঞ্চায়েতের চৌর এবং অমরকাটি গ্রামের শতাধিক বিঘা জমিতে নোনা জল ঢুকে পটল, বেগুন, কলা প্রভৃতি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বেশ কিছু বাড়ি জলমগ্ন হয়েছে। বসিরহাটের মহকুমা কৃষি আধিকারিক মুরারীমোহন বরকন্দাজ বলেন, “এখনও সব ব্লক থেকে রিপোর্ট আসেনি। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে প্রায় ৩০০ হেক্টর বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। অন্যান্য বছর ৬০০-৭০০ হেক্টর আম চাষ হয়। শিলা বৃষ্টি এবং ঝড়ের কারণে এ বার সেই ফলন কমে ২০০-৩০০ হেক্টরে দাঁড়াবে। তবে, বৃষ্টিতে পাট চাষের উপকার হবে।” |
গ্রামবাসীদের বক্তব্য, অবিলম্বে বাঁধ সারানো না হলে বিপদ বাড়বে। বসিরহাটের নলকোড়া গ্রামে প্রায় ৫০ ফুট বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকেছে। হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর, মঙ্গলচণ্ডীতেও নদী বাঁধে বড় রকমের ফাটল ধরেছে। হেমনগরে রায়মঙ্গল নদীর বাঁধের পাশের অধিকাংশ ম্যানগ্রোভ ঝড় উপড়ে গিয়েছে। বাঁধ ভেঙেছে সন্দেশখালির পাঁচ নম্বর বাউনিয়া, বেড়মজুর পঞ্চায়েতের ধুলিয়া গ্রামেও। সোমবার সন্ধ্যায় ঝড়ের দাপটে আতাপুরের কাছে বড়কলাগাছি নদীতে বালি-সিমেন্ট বোঝাই একটি নৌকা উল্টে যায়। যাত্রীরা সাঁতরে কোনও রকমে পাড়ে উঠলেও নৌকাটির খোঁজ মেলেনি। হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আবুবক্কর গাজি জানান, বোলতলা বিএসএফ ক্যাম্পের পাশে নদীতে ধস নামায় সেখানে জেটি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। |