|
|
|
|
অভিযানের আগেই ফাঁড়ি সরে তেখালিতে, রিপোর্ট সিআইডির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা ও হলদিয়া |
২০০৭-এর ১০ নভেম্বর সিপিএমের নন্দীগ্রাম ‘পুনর্দখলে’র মাত্র চার দিন আগে তেখালি থেকে পুলিশের ফাঁড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে মঙ্গলবার হাইকোর্টে রিপোর্ট দিল সিআইডি। পরিকল্পনা করে পুলিশ সরিয়ে প্রশাসনের তরফে সিপিএমকে ‘হামলা’র সুযোগ করে দেওয়া হয় বলে তৃণমূল অভিযোগ করেছে। সিআইডির রিপোর্ট অভিযোগেই ‘সিলমোহর’ দিল। ২০০৭-এর নভেম্বরে সিপিএমের সেই নন্দীগ্রাম ‘পুনর্দখল’ অভিযান বা ‘অপারেশন সূর্যোদয়’ পর্বে ৬ নভেম্বর তেখালি থেকে পুলিশের ফাঁড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে সিআইডি রিপোর্টে উল্লেখ করেছে। এ দিন হাইকোর্টে বিচারপতি অসীম রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে সরকারি আইনজীবী তপন মুখোপাধ্যায় সিআইডির রিপোর্ট জমা দিয়ে বলেন, “আউটপোস্টটি কেন তোলা হয়, পুলিশের ওপরতলা থেকে কে এই নির্দেশ দেন--তার তদন্ত শুরু হয়েছে।” |
|
আদালত চত্বরে লক্ষ্মণ শেঠ। ছবি: আরিফ ইকবাল খান। |
অপারেশন সূর্যোদয়ের ঘটনায় ‘নিখোঁজ’ ৭ জনের পরিজন কলকাতা হাইকোর্টে ‘হেবিয়স কর্পাস’ করেন। নিখোঁজদের কী হল, তা দেখতে কোর্ট সিআইডি-কে তদন্ত করতে বলে। সিআইডি ৩০ জানুয়ারি হলদিয়া আদালতে ৮৮ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর নামে চার্জশিট দিয়ে জানিয়েছে, নিখোঁজরা বেঁচে নেই। সিআইডি এ-ও জানিয়েছে, লক্ষ্মণ-সহ ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও কয়েক জন ‘ফেরার’। সিআইডি-র দাবি, তদন্তে নতুন তথ্যও মিলেছে। মঙ্গলবারই লক্ষ্মণ শেঠ, অশোক গুড়িয়া ও অমিয় সাউদের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে ২৩ এপ্রিল আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। লক্ষ্মণবাবুদের ১৭ মার্চ মুম্বই থেকে ধরে কেন ২০ তারিখে আদালতে হাজির করানো হয়তা নিয়ে এসিজেএমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাদের আইনজীবীরা। সিআইডি জানায়, তাঁরা ক্লান্ত ছিলেন বলেই ২০ তারিখ হাজির করানো হয়। |
|
|
|
|
|