|
|
|
|
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় |
শিক্ষকদের বেতনের টাকাও উন্নয়ন-খাতে খরচের অনুমতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শিক্ষক নিয়োগের জন্য অর্থ এসেছিল ২০০৮ সালে। কিন্তু একাদশ অর্থ-পরিকল্পনায় পাওয়া শিক্ষক নিয়োগের সেই অর্থ সময়ে খরচ করতে পারেনি বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। একেবারে শেষলগ্নে, চলতি ২০১২-র মার্চে শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তুতি-কাজ অবশ্য শেষ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইউজিসি-র ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার কী হবে? তা কি ফিরে যাবে? ইউজিসি-র কাছে উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী আবেদন করেছিলেন, যেন অর্থ ফেরত না নেওয়া হয়। পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়নে ওই টাকা খরচের অনুমতি চান উপাচার্য। ইউজিসি সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। রঞ্জনবাবু বলেন, “ইউজিসি ওই টাকা উন্নয়ন-খাতে খরচ করার অনুমতি দেওয়ায় আমরা খুবই উপকৃত হয়েছি। ওই অর্থে একটি বড় প্রশাসনিক ভবন তৈরি করা হবে।”
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে প্রশাসনিক ভবন রয়েছে সেখানে পর্যাপ্ত জায়গা নেই। ফলে, বড় একটি হলঘরকেই প্লাইউড দিয়ে ঘিরে ছোট ‘কিউবিক্ল’ তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই বিভিন্ন পদাধিকারীর বসার ব্যবস্থা। যত দিন যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নতুন বিভাগ খুলছে। কর্মী-সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়েই খাতা দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত ঘর না থাকায় কষ্ট করেই সকলকে চলতে হচ্ছে। তাই অনেক আগে থেকেই একটি নতুন প্রশাসনিক ভবন তৈরির পরিকল্পনা ছিল কর্তৃপক্ষের। কিন্তু অর্থের অভাবে তা করা যায়নি। এ বার শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থাপনা-খাতে ইউজিসি-র ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও ৩২ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি নতুন প্রশাসনিক ভবন তৈরির পরিকল্পনা করেছে। পাঁচ-তলা ভিতের উপর আপাতত তিন-তলা ভবন তৈরি করা হবে। একটি বড় সংস্থাকে দিয়ে ওই কাজ করানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। শীঘ্রই নতুন প্রশাসনিক ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে উপাচার্য জানিয়েছেন। নতুন ভবনে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ফিনান্স অফিসার, ডেভলপমেন্ট অফিসার-সহ বিভিন্ন পদাধিকারীর দফতর নিয়ে যাওয়া হবে। পুরনো ভবনে পরীক্ষা নিয়ামকের দফতর, খাতা দেখার ব্যবস্থা-সহ কিছু বিভাগ থাকবে।
ইউজিসি কোটি টাকারও বেশি ফেরত না নিয়ে খরচের অনুমতি দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বভাবতই খুশি। নিয়ম অনুযায়ী, শিক্ষক নিয়োগের অনুমতি দেয় ইউজিসি। শিক্ষকদের প্রথম পাঁচ বছরের বেতনও দেওয়ার কথা ইউজিসি-র (তার পর থেকে রাজ্য সরকারকেই ওই বেতন দিতে হয়)। একাদশ অর্থ-পরিকল্পনায় ৩৭ জন শিক্ষক নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সে জন্যই ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল ইউজিসি। যেহেতু ইউজিসি-র পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, তাদের বরাদ্দ অর্থও আর শিক্ষকদের বেতন-খাতে দেওয়া যাবে না। বেতন দিতে হবে রাজ্য সরকারকেই। আগের বরাদ্দ খরচ না-হওয়ায় তা ফেরত নিতেই পারত ইউজিসি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কৃর্তপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই অর্থ পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচের অনুমতি দিয়েছে ইউজিসি। |
|
|
|
|
|