|
|
|
|
রূপনারায়ণের চরে ভাঙন তমলুকে |
বিপন্ন কয়েকশো পরিবার, পথে নামল তৃণমূল-এসইউসি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
রূপনারায়ণের চর এলাকায় ভাঙনের জেরে বিপন্ন হয়ে পড়েছে কয়েকশো বাসিন্দা। তমলুক পুরসভার ১, ১৪, ১৮ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বহু বাসিন্দাই এখন গৃহহীন। সমস্যা সমাধানে এ বার পথে নামল শাসকদল তৃণমূল ও তাদের শরিক এসইউসি।
প্রায় এক বছর ধরে শহরের উত্তর ও দক্ষিণ শঙ্করআড়া চর, আবাসবাড়ি ও নারায়ণপুর এলাকায় নদী-ভাঙনের জেরে কয়েকশো বিঘা জমি রূপনারায়ণে তলিয়ে গিয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। রবিবারই তমলুকের বিধায়ক তথা রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি পুনর্বাসনেরও দাবি জানান। নদী ভাঙন রোধে সেচ দফতরের উদ্যোগের কথা জানান মন্ত্রী। তারপরেও মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে তমলুক মহকুমা সেচ দফতরের আধিকারিকের অফিসে যান শহরের এসইউসি নেতৃত্ব। দেওয়া হয় স্মারকলিপি। ‘রূপনারায়ণ নদীভাঙন প্রতিরোধ কমিটি’র ব্যানারে স্টিমারঘাট থেকে মিছিল পৌঁছয় সেচ দফতরের মহকুমা অফিসে। নেতৃত্বে ছিলেন একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলার ও এসইউসি নেতারা। এ দিন স্মারকলিপি দিতে এসেছিলেন ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সীতা বর্মন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাজল সাঁতরার মতো গৃহবধূরা। তাঁদের অভিযোগ, “গত এক বছর ধরে চর ভাঙছে। বাড়িঘর সব তলিয়ে গিয়েছে। গত বছর বর্ষার আগে বাঁশের খাঁচা ফেলে কিছু অংশে কাজ হয়েছিল। কিন্তু ভরা কোটালে সব নদীতে তলিয়ে গিয়েছে। আর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” |
|
ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
এ দিনের কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর রবীন্দ্রনাথ সেন, গৌর সামন্ত, চামেলি সামন্ত ও এসইউসি নেতা নারায়ণচন্দ্র নায়েক, জ্ঞানানন্দ রায় প্রমুখ। রবীন্দ্রনাথবাবু ও নারায়ণবাবু বলেন, “চর এলাকায় ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাতেই ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে এসেছিলাম। স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।” সেচ দফতরের পূর্ব মেদিনীপুর বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার দিগন্ত মাইতি জানিয়েছেন, তমলুক শহর সংলগ্ন এলাকায় রূপনারায়ণের ভাঙন রোধে ধারাবাহিক ভাবে কাজ হচ্ছে। শহরের কাছ থেকে নদীর স্রোত সরাতে কিছুটা দূরে টোটাবেড়িয়ায় স্পার দেওয়ার কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। এ ছাড়াও পায়রাটুঙ্গি থেকে স্টিমারঘাট পর্যন্ত ৯০০ মিটার এলাকায় বোল্ডার-স্পার দেওয়ার জন্য ১ কোটি ১৭ লক্ষ টাকার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। স্টিমারঘাটা থেকে দক্ষিণ চরা শঙ্করআড়া পর্যন্ত ১ কিলোমিটার এলাকায় বোল্ডার-স্পার দেওয়ার জন্য ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে রাজ্য সেচ দফতরে।
এ দিন স্মারকলিপি দিতে যাওয়া তৃণমূল ও এসইউসি নেতারা অবশ্য দাবি করেন, শহরের কাছে নদী ভাঙন রোধে রূপনারায়ণের স্রোতে যে চর সৃষ্টি হয়েছে তা ড্রেজিং করে সরানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাহী বাস্তকারের আশ্বাস, “এই প্রস্তাবও রাজ্য সেচ দফতরে পাঠানো হবে।” |
|
|
|
|
|