আরবিল এস সি- ২ (রাজ্জাক-পেনাল্টি-২)
ইস্টবেঙ্গল- ০ |
সম্মানরক্ষা হল না। বিরতির ঠিক আগে ও পরে মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানেই নিভে গেল লাল-হলুদ মশাল। তবে সামনের বছরের এশীয় কোটার জন্য ইরাকেই খোঁজখবর নিয়ে রাখল ইস্টবেঙ্গল। সেখানে কর্তারা কথাবার্তা বললেন কয়েক জনের সঙ্গে।
এএফসি কাপের শেষ আটের আশা আগেই শেষ হয়ে গেছে। তবু ট্রেভর মর্গ্যানের অনুপস্থিতিতে বাঙালি কোচ রঞ্জন চৌধুরীর কোচিংয়েই এএফসি কাপে সেরা ম্যাচ খেলল ইস্টবেঙ্গল। বক্সের মধ্যে পিছন থেকে রবার্টের দু’টো ট্যাকলেই দু’টো পেনাল্টি। দু’বারই পেনাল্টি থেকে গোল করেন আব্দুল রাজ্জাক। ম্যাচ শেষে রেফারিং নিয়ে অখুশি রঞ্জন বলেন, “পেনাল্টি দু’টো না-ও হতে পারত। মাঠ অসমান ছিল। প্রচণ্ড হাওয়াও ছিল। তাতেও ছেলেরা ভাল খেলেছে।”
শুরু থেকেই পেন-রবিনদের ছোট ছোট পাস এবং গতি বাড়িয়ে বিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করার কৌশল বেশ চোখ টানল। মিস পাসের সংখ্যাও অনেক কম ছিল। মাঝমাঠে দুরন্ত ফুটবল খেললেন মেহতাব হোসেন-পেন ওরজি। অনেক দিন পরে দু’জনের মধ্যে দেখা গেল আবার সেই পুরনো বোঝাপড়ার ঝলক। পেনাল্টির খপ্পরে না পড়লে, হাসতে হাসতেই মাঠ ছাড়তে পারতেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা।
আরবিল জিতলেও, গোলের সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গলও। কিন্তু যুবভারতীর মতো ইরাকেও সহজ গোল নষ্ট করলেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। দিনের সবচেয়ে সহজ সুযোগটা পেয়েছিলেন এডমিলসন। বিপক্ষ গোলকিপারকে একা পেয়ে বাঁ পায়ের শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু গোল আসেনি। বল সোজা তুলে দিলেন গোলকিপারের হাতে। তিন বছর আগের এডমিলসন হলে হয়তো উল্টো দৃশ্যটাই দেখা যেত! টোলগে ওজবের না থাকাটাও বেশ ভোগাল ইস্টবেঙ্গলকে। রবিন সিংহ বন্ধুর অনুপস্থিতি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও, কাজের কাজ হয়নি। এএফসি কাপে এই নিয়ে মোট চারটে ম্যাচে একটাও গোল করতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। উল্টে হজম করেছে আটটা গোল। তবে প্রশংসা করতে হচ্ছে সন্দীপ নন্দীর। লাল-হলুদের এই অভিজ্ঞ গোলকিপার না থাকলে আরও গোল হজম করতে হত ইস্টবেঙ্গলকে। দু’তিনটে নিশ্চিত গোল বাঁচালেন তিনি।
ইস্টবেঙ্গল জিততে পারল না ঠিকই। তবে এ দিন যে মাপের ফুটবল খেললেন পেনরা, তাতে আই লিগে ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস নিশ্চয়ই বাড়িয়ে তুলবে। বিশেষ করে ১৬ এপ্রিল চিরাগ কেরল ম্যাচের আগে।
ইস্টবেঙ্গল: সন্দীপ, নির্মল, গুরবিন্দর, ওপারা, রবার্ট (সৌমিক), পেন, মেহতাব, সঞ্জু, সুবোধ, রবিন, এডমিলসন। |