পরীক্ষামূলক ভাবে ইঞ্জিন চালানো হল তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর লাইনে। তারকেশ্বর থেকে আরামবাগ পর্যন্ত লাইন নির্মাণের কাজ শেষ। মঙ্গলবার আরামবাগের মায়াপুর থেকে আরামবাগ স্টেশন পর্যন্ত একটি ডিজেল ইঞ্জিন চালানো হয়। এর আগে তারকেশ্বর থেকে দফায় দফায় মায়াপুর পর্যন্ত এ ধরনের পরীক্ষামূলক ভাবে ইঞ্জিন চালানো হয়েছে। পুড়শুড়ার কেলেপাড়া পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের জন্য কয়েকটি পাথর-বোঝাই মালগাড়িও এসেছে। এ দিন আরামবাগ স্টেশনে নারকেল ফাটিয়ে ট্রেন চালানোর সূচনা করেন স্থানীয় বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব রেলের চিফ ইঞ্জিনিয়ার সুনীলকুমার সর্দার, ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার পল্লব ফৌজদার প্রমুখ। চিফ ইঞ্জিনিয়ার জানান, আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে ৪০ কোচের পাথর-বোঝাই মালগাড়ি আসবে। |
চলতি বছরের মধ্যেই গোঘাট পর্যন্ত রেলপথ তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হবে। বিদ্যুদয়নের কাজও দ্রুত চলছে।” ২০১৩ সালের ডিসেম্বর নাগাদ বিষ্ণুপুর পর্যন্ত ট্রেন চালানো সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। পল্লববাবু এই প্রকল্পটি দেখভালের দায়িত্বে আছেন। তিনি বলেন, “গোঘাট থেকে বাঁকুড়ার ময়নাপুর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রেলপথের জন্য জমি অধিগ্রহণ বাকি আছে। সেই কাজ যাতে দ্রুত করা যায়, সেই চেষ্টা চলছে।” এ দিন পরীক্ষামূলক ইঞ্জিন চালানো দেখতে রেললাইনের ধারে ধারে ভিড় করেছিলেন উৎসাহী গ্রামের মানুষ। প্রসঙ্গত, আরামবাগে রেল চালুর দাবি দীর্ঘ দিনের। এ বার সেই আশা পূরণ হতে চলেছে বলে আশায় বুক বেঁধেছেন মানুষ। |