রাস্তার কাজ আদৌ হয়নি। অথচ, একশো দিনের প্রকল্পে কাজ শেষ হয়েছে, এই মর্মে সিমেন্টের ফলক বসিয়ে দেওয়া হল। ঘটনাটি আরামবাগের গৌরহাটি ১ পঞ্চায়েতের ডিহিবাগনান গ্রামের। ফলকে কোড নম্বর-সহ প্রকল্পটির নাম লেখা হয়েছে, ‘এসসি রায় রোড থেকে মান্নাপাড়া হয়ে পাড়াবাগনান রাস্তা সংস্কার।’ ব্যয় লেখা হয়েছে, ৭ লক্ষ ৭১ হাজার ৭৯৬ টাকা। গত শনিবার এই ফলক দেখে গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। গ্রামবাসীদের একাংশ গণস্বাক্ষর সম্বলিত একটি চিঠি বিডিও মৃণালকান্তি গুঁইকে জমা দেন। রাস্তায় কোনও রকম কাজ না হলেও কেন এমন ফলক পোঁতা হল, তা নিয়ে বিস্মিত সকলেই। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিডিও। পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, ফলক শিল্পীর ভুলে অন্য জায়গার নাম লেখা হয়েছে। |
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাস্তাটি ২০১০-১১ আর্থিক বছরে সংস্কার হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক পাত্র, অনিল দাস, অনিমেষ ঘোষ, তরুণ চৌধুরী, তাপস কর্মকারদের অভিযোগ, সে বারও রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ করা হয়নি। ৮০০ মিটার রাস্তায় তিনশো মিটার সংস্কারের পরে কাজ আর এগোয়নি। আর এ বার কোনও কাজ না করেই এমন দাবি করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন গ্রামবাসীদের এই অংশটি।
গৌরহাটি ১ পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের পদ্মাবতী পালের অবশ্য দাবি, কোনও ‘দুর্নীতি’ হয়নি। তিনি বলেন, “ফলক লেখার শিল্পী ভুলবশত মান্নাপাড়া লিখেছেন। ফলকে লেখার কথা ছিল, এসসি রায় থেকে অধিকারীপাড়া-বারুইপাড়া হয়ে পাড়াবাগনান। সমস্ত বিষয়টি বিডিওকে জানিয়েছি।” পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক (সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পঞ্চায়েত আধিকারিক) পার্থ নন্দী বলেন, “এসসি রায় রোড থেকে পাশাপাশি দু’টি রাস্তার একটি মান্নাপাড়া হয়ে পাড়াবাগনান গিয়েছে। অন্যটি অধিকারীপাড়া-বারুইপাড়া হয়ে পাড়াবাগনান গিয়েছে। দ্বিতীয় রাস্তাটি সংস্কার হয়েছে। ফলকে অন্য তথ্য সব ঠিকই আছে। শুধু শিল্পী ভুলবশত মান্নাপাড়া লিখেছেন।” |