অবিলম্বে কারখানা খুলতে চান ডানলপ কর্তৃপক্ষ। রাজ্য সরকার এবং শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মঙ্গলবার নব মহাকরণে শ্রম কমিশনারের ঘরে আড়াই ঘণ্টার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে এই প্রস্তাব দেন কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতেও জানিয়েছেন, দফায় দফায় তাঁরা সাহাগঞ্জ কারখানা খুলতে চান। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কারখানা খোলা এবং শ্রমিকদের পাওনা মেটানোর ব্যাপারে কী কী প্রস্তাব ডানলপ কর্তৃপক্ষের রয়েছে, তা লিখিত আকারে জমা দিতে বলেন রাজ্যের শ্রম কমিশনার অমল রায়চৌধুরী। সেগুলি আজ বুধবারই জমা দেবেন কর্তৃপক্ষ। প্রস্তাব নিয়ে বৃহস্পতিবার আর এক দফা ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে। প্রসঙ্গত, গত নভেম্বর থেকে ডানলপ কারখানায় ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’ চলছে। বর্তমানে কারখানার কর্মী সংখ্যা ৮১০।
শ্রম দফতর সূত্রের খবর, শ্রম কমিশনার এবং ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের ডানলপ কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁরা কারখানা খুলতে রাজি এবং শীঘ্র কারখানার রক্ষণাবেক্ষণের কাজও শুরু করতে চান। তিন দফায় মোট ৪৪১ জন কর্মীকে ফের নিযুক্ত করতে চান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাকি শ্রমিকদের ব্যাপারে কী করা হবে, তা কারখানা কর্তৃপক্ষ এ দিন নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি। রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু অবশ্য জানান, বাকিদের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দু’টি প্রস্তাব রয়েছে: কিছু কর্মীকে স্বেচ্ছাবসর দেওয়া। আর, বাকিদের ডানলপের অন্য কারখানায় বদলি করা। মন্ত্রী জানান, ডানলপ হাতে নেওয়ার সময়ে যে-সব শর্ত বর্তমান মালিক পবন রুইয়া মেনে নিয়েছিলেন, তার মধ্যে ছিল এককালীন ৩০ হাজার টাকা করে প্রত্যেক কর্মীকে দেওয়া। কর্মীরা মাত্র ৫ হাজার টাকা পেয়েছেন। তাঁরা চাইছেন, কর্তৃপক্ষ বাকি ২৫ হাজার টাকা এককালীন মিটিয়ে দিন। কারখানা খোলার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কতটা সদিচ্ছা রয়েছে তা জানা যাবে ওই টাকা মেটানোর ব্যাপারে তাঁরা কী বলেন তা শোনার পর। বৈঠকে শ্রম কমিশনার এবং দফতরের অন্য অফিসার ছাড়াও ডানলপের পরিচালন পর্ষদের পক্ষে দামোদর দানি-সহ অন্য কর্তারা এবং শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি, সিটু ও আইএনটিইউসি-র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। শ্রমমন্ত্রী বলেন, “কর্তৃপক্ষ চান, সরকার কারখানাকে ফের ‘রিলিফ আন্ডারটেকিং’-এর আওতায় আনুক। তা হলে পাওনাদাররা (মূলত পণ্য সরবরাহকারী সংস্থা) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন না। |