টাউন কমিটির নির্বাচন ঘিরে কংগ্রেসের গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বে আজ করিমগঞ্জ জেলার বদরপুর শহর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঢিলপাটকেল ও পুলিশের লাঠিতে জখম হয়ে ২৬ জন হাসপাতালে ভর্তি। জখমদের মধ্যে রয়েছেন ব্লক কংগ্রেস সভাপতি পরিতোষ ঘোষ, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে কে গুপ্ত এবং দুই মহিলা কনস্টেবলও।
৫৬ লক্ষ টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে গত বছর বদরপুর টাউন কমিটির চেয়ারপার্সন পদে ইস্তফা দেন বাবলি দাস। সেই থেকে ভাইস চেয়ারম্যান রঘুনাথ ভুইয়াঁই ওই দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু পদটি মহিলা সংরক্ষিত বলে হাইকোর্ট তাঁকে দায়িত্ব ছাড়ার নির্দেশ দেয়। সেই থেকেই জটিলতার শুরু। আজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে টাউন কমিটির বৈঠক ডাকা হয়। রঘুনাথবাবু এতে উপস্থিত না-হয়ে তাঁর সমর্থকদের নিয়ে সার্কেল অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। তাঁর দাবি, ৫৬ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাবলি দাসকে গ্রেফতার করতে হবে। চার সদস্যবিশিষ্ট টাউন কমিটির অন্য তিন সদস্য এবং রিটার্নিং অফিসার হিসেবে মহকুমা শাসক শান্তিকুমার সিংহ ভেতরে ঢুকতেই শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক, ধাক্কাধাক্কি। পরে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি চলে। এতে জখম হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে কে গুপ্ত। শুরু হয় লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো। বদরপুর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি পরিতোষ ঘোষ-সহ বহু লোক জখম হন। ৫০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। ৬ জন পুরুষ এবং ২০ জন মহিলা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ও দিকে, বৈঠকে উপস্থিত তিন সদস্য সর্বসম্মত ভাবে লাকি রায়কে চেয়ারপার্সন হিসাবে মনোনীত করেন। রঘুনাথগোষ্ঠী এ-নিয়ে কোনও মন্তব্যে না-গিয়ে পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে কাল ১২ ঘণ্টা বদরপুর বন্ধ ডেকেছে। কিন্তু দলীয় দ্বন্দ্বের জেরে বন্ধ ডাকায় ব্যবসায়ী-সহ সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। নবনির্বাচিত চেয়ারপার্সন লাকি রায়ও বন্ধের বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেন, ক্ষমতা ছাড়তে হচ্ছে বলে রঘুনাথবাবু অসংযত আচরণ করছেন। তিনি নিরীহ মানুষদের এনে মার খাইয়েছেন। |