|
|
|
|
আইপিএল-এর রাতে এখনও অনিশ্চিত বাড়তি মেট্রো পরিষেবা |
অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় |
প্রথম দিন তো চলেইনি, পরের আইপিএল ম্যাচের দিনগুলিতেও খেলার পরে বেশি রাতে মেট্রো চলবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেল।
ইডেনে আর পাঁচটি ম্যাচ হওয়ার কথা। ৬ দিনের মধ্যে ৫ দিন খেলার পরে রাতে দু’টি করে অতিরিক্ত মেট্রো পরিষেবা চেয়েছিলেন সিএবি কর্তারা। মেট্রো ও অন্য দুই জোনাল (পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব) রেলকে চিঠি লিখে ট্রেন চালানোর আবেদন জানান। ম্যাচের পরে যাতে দর্শকদের বাড়ি ফিরতে অসুবিধা না হয়, তার জন্যই ওই অনুরোধ।
কিন্তু মেট্রো সূত্রে খবর, এই খেলা বাণিজ্যিক হওয়ায় অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর জন্য সিএবিকে ন্যূনতম কিছু টাকা দিতে হবে। কত টাকা দিতে হবে, তা জানিয়ে ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষ চিঠিও পাঠিয়েছেন সিএবিকে। কিন্তু সিএবি তার পরে আর উচ্চবাচ্য না করায় প্রথম দিনে মেট্রো চলেনি। উল্লেখ্য, সে দিন এমনিতেই ঝড়-বৃষ্টি এবং মেট্রো না থাকায় খেলার পরে দর্শকদের বাড়ি ফিরতে প্রচণ্ড দুর্ভোগেও পড়তে হয়।
মেট্রোর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (সাধারণ) প্রত্যুষ ঘোষ বলেন, “যেহেতু এই খেলা বাণিজ্যিক, তাই অতিরিক্ত পরিষেবা দেওয়ার জন্য ন্যূনতম টাকার কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, দিন পিছু দু’টি অতিরিক্ত মেট্রো বাবদ ৩৪ হাজার টাকা করে দিতে হবে। যার মধ্যে থাকছে মোটরম্যান ও গার্ড-এর খরচ ও বিদ্যুৎ-খরচ। কিন্তু সিএবি এখনও উত্তর দেয়নি।” তিনি আরও বলেন, “মেট্রো ইতিমধ্যেই নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছে। ফলে বাড়তি ট্রেন চলবে কি না, তা এখন সিএবি বলবে।” মঙ্গলবার রাতে কেকেআর জানায়, ‘প্রশাসন যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই মেনে চলা হবে।’
অন্য দিকে, পূর্ব রেলও ট্রেন চালাবে কি না, তা নিয়ে প্রথম দিন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। এক দিকে চালকের তীব্র অভাব, অন্য দিকে টাকা নেওয়া হবে কি না তা নিয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ট্রেন চালানো অনিশ্চিত ছিল। যদিও প্রতি বছরই আইপিএল ম্যাচের সময়ে রাতে ট্রেন চালায় পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেল। পরে বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হওয়ায় মঙ্গলবার রাতে পূর্ব রেল জানায়, ম্যাচের দিনগুলিতে হাওড়া ও প্রিন্সেপঘাট থেকে দুটি করে অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশন সূত্রে খবর, চালকের সংখ্যা খুবই কম হওয়ায় অতিরিক্ত ট্রেন দেওয়া সম্ভব নয় বলে সদর দফতরে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন ডিভিশনের কর্তারা। ইস্টার্ন রেল মেন্স ইউনিয়নের কতার্রা বলেন, “চালক নেই। টাকা নেই। নিয়োগ বন্ধ। এ ভাবে ট্রেন চালানো যায় না।” |
|
|
|
|
|