‘অবৈধ’ ফ্ল্যাট ভাঙতে বাধা, কাউন্সিলরের বাড়ি আক্রান্ত
লাকার কাউন্সিলরের অভিযোগ পেয়ে ‘অবৈধ’ বাড়িটি ভাঙতে শুরু করেছিল পুরসভা। অভিযোগ, সেই ক্ষোভে কসবার ওই কাউন্সিলর, দীপু দাসের বাড়িতে হামলা চালাল কিছু দুষ্কৃতী। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কসবার ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের ডাক্তার জি সি বসু রোডে।
ওই দুষ্কৃতীরা বাড়ি ভাঙতে আসা পুরকর্মীদের কাজেও বাধা দেয় বলে অভিযোগ। ভয়ে কাজ বন্ধ করে দেন তাঁরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা ওই বেআইনি বাড়ির প্রোমোটারের লোক। তাদের বিরুদ্ধে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই কাউন্সিলর। পুলিশ অবশ্য দুষ্কৃতীদের কাউকে ধরতে পারেনি। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বেআইনি বাড়িটি ভাঙার কাজ বন্ধ করা হবে না।
পুরসভা সূত্রের খবর, ওই এলাকায় অনুমোদন ছাড়াই একটি চারতলা বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। পুরসভায় এ নিয়ে অভিযোগও জমা পড়ে। তার ভিত্তিতেই এ দিন পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে পুরকর্মীরা বাড়িটি ভাঙতে যান। তিনতলার কিছুটা অংশ ভাঙা হতেই বাড়ির মালিক ও প্রোমোটারের লোকজন বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বলে অভিযোগ। পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের এক অফিসার জানিয়েছেন, পুলিশের সামনেই তাঁরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। ভয় পেয়ে বাড়ি ভাঙার কাজ বন্ধ করে দিয়ে সেখান থেকে চলে যান পুরকর্মীরা।
সেই ‘বেআইনি’ বাড়ি। নিজস্ব চিত্র
অভিযোগ, এর পরেই কয়েক জন দুষ্কৃতী স্থানীয় কাউন্সিলর দীপুদেবীর বাড়িতে হামলা চালায়। তাদের বক্তব্য, দীপুদেবীই পুরসভার কাছে ওই বাড়িটি নিয়ে অভিযোগ করেছেন। পরে দীপুদেবী বলেন, “অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে যদি এই হাল হয়, তবে বেআইনি নির্মাণ তো বাড়তেই থাকবে।” তাঁর দাবি, হামলাকারীরা এলাকায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক বলে পরিচিত। মেয়র অবশ্য বলেন, “কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলার ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয়। তবে হামলাকারীদের শনাক্ত করার দায়িত্ব পুলিশের।”
এ দিন দুপুরে কাউন্সিলরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একতলার কাঠের জানলা ও বাড়ির সামনে অ্যাসবেস্টসের ছাউনি ভাঙা হয়েছে। দীপুদেবী জানান, হামলার সময়ে তিনি ওয়ার্ড অফিসে ছিলেন। পরে পুলিশ ও মেয়রকে বিষয়টি জানান তিনি। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাঁর বাড়িতে যায়।
ডিসি (ইএসডি) সুজয় চন্দ বলেন, “ওই ঘটনায় একটি অভিযোগ করেছে পুরসভা। অন্যটি কাউন্সিলরের পরিবার। এখনও কেউ ধরা পড়েনি।” ঘটনার পরে ‘বেআইনি’ বাড়িটি ঘিরে রাখে পুলিশ। দীপুদেবীর বাড়ির সামনেও পুলিশ মোতায়েন হয়েছে।
দীপুদেবীর অভিযোগ, “এলাকায় আরও অনেক বেআইনি বাড়ি হচ্ছে। পুরসভাকে বারবার জানানো হয়েছে। বাড়ি তৈরি হওয়ার পরে পুরকর্তাদের টনক নড়ছে। গত বছর অগস্টেই পুরসভায় লিখিত ভাবে জানাই। কিন্তু কাজ হয়নি।” পুলিশ জানায়, ঘটনার পরেই এলাকা ছেড়ে ‘পালিয়েছেন’ ওই বাড়ির মালিক ও প্রোমোটার। বাড়িটিতে থাকেন মালিকের কিছু আত্মীয়। তাঁরা জানান, পুরসভার লোকেরা তাঁদের ঘর থেকে বার করে ভাঙার কাজ শুরু করেন। বাড়ির মালিক কোথায়, তা অবশ্য তাঁরা জানাতে পারেননি।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.