রাজাভাতখাওয়া থেকে জয়ন্তী
পর্যটনে ‘গ্রিন ট্রেন’ চালাবে রেল
যর্টকদের জন্য রাজাভাতখাওয়া থেকে জয়ন্তী বনবস্তি ‘গ্রিন ট্রেন’ চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রেল। গত মার্চে রেলবাজেটে তৎকালীন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী ওই ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবার জয়ন্তীর পরিত্যক্ত রেলপথ পরিদর্শন করেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। জয়ন্তীর বাসিন্দারাও রেলপথটি চালু করার দাবি জানিয়েছেন মন্ত্রীর কাছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রাজাভাতখাওয়ায় এসেছিলেন। সেই সময় রেলপথটি চালু হবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। রেল সূত্রের খবর, কম ধোঁয়ার ডিজেল চালিত ইঞ্জিন, নির্দিষ্ট স্পিড লিমিট এবং বায়ো টয়লেট গ্রিন ট্রেনের উল্লেখযোগ্য দিক। জঙ্গল, পাহাড়ের দীর্ঘ সুড়ঙ্গ’র ক্ষেত্রেই গ্রিনট্রেন চালানো হয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “ইংরেজ আমলে চালু হওয়ায় রেলপথটি নানা কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই বছরে রেল বাজেটে রেলপথটি পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রেলমন্ত্রী মুকুল রায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভিতর দিয়ে পথটি যাবে। পরিবেশ ও বন্যজন্তুর কথা মাথায় রেখে গ্রিন ট্রেন চালানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে।” মন্ত্রী জানান, লাইন মিটার গেজ ছিল। ন্যারোগেজ লাইন পেতে ট্রয়ট্রেন চালালে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে। দার্জিলিঙে বাসিন্দারা ট্রয়ট্রেন চড়তে যান। কিন্তু মধ্যবিত্ত পর্যটকদের কাছে সবসময় দার্জিলিং যাওয়া সম্ভব নয়। রাজাভাতখাওয়া থেকে জয়ন্তী রেল পথটিতে ২-৩টি বগি নিয়ে ট্রয়ট্রেন চালানো যেতে পারে।
মঙ্গলবারের নিজস্ব চিত্র।
রেলমন্ত্রীকে বিষয়টি বলব। ব্রিটিশ আমলে তৈরি রাজাভাতখাওয়া জয়ন্তী রেলপথ ফের শুরু করা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। ২০০৮-০৯ সালে সমীক্ষাও হয়। ডলেমাইট উত্তোলন বন্ধ হওয়া, বক্সা টাইগার রিজার্ভ গড়ে ওঠা-সহ নানা কারণে ১৯৮৬ সালে বন্ধ হয়ে যায় রেলপথ। এদিন সকালে মন্ত্রী গৌতমবাবু জয়ন্তীর বালা নদীর কাছে ১৯০০ সালে ইংরেজ আমলে তৈরি রাজাভাতখাওয়া জয়ন্তী রেল পথ পরিদর্শন করেন। কোচবিহার, জয়ন্তী, বক্সা, চিলাপাতার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশ ভুটান নয়ে পযর্টকদের জন্য টুরিজম সার্কিটের পরিকল্পনার কথাও মন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন। তিনি জানান, বন দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে বক্সা ফোর্টের সংস্কার করা হবে। এলাকায় হোম ট্যুরিজমকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। বক্সা পাহাড়ে কমলা বাগানও পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলা হবে। লাটাগুড়ি, গরুমারা, চালসা এবং চামরামারি এলাকায় আর রিসর্ট বা লজের অনুমতি দেওয়া হবে না। চিলাপাতায় মডেল ভিলেজ তৈরি হচ্ছে। এদিন জয়ন্তীর বাসিন্দা মিতালি বসু, কমল বন্দোপাধ্যায়রা জানান, রেলপথটি চালুর পাশাপাশি পরিশ্রুত পানীয় জল, বালা নদীতে পাকা সেত এবং জঙ্গলে পযর্টকদের কার সাফারি চালুর দাবি মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.