|
|
|
|
শহর থেকেই চালু ৪জি মোবাইল পরিষেবা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দেশের টেলি-যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। আর তার সঙ্গে এ বারও জড়িয়ে থাকল কলকাতা।
১৮৮১-তে দেশে প্রথম এই শহরেই টেলিফোন সংযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল। ১৬ বছর আগে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু কলকাতা থেকেই দেশের মধ্যে প্রথম মোবাইল ফোনটি দিল্লিতে করেছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় যোগাযোগমন্ত্রী সুখ রামকে। এ বার মোবাইল প্রযুক্তি পরিষেবার আধুনিকতম প্রযুক্তি ৪-জি বা চতুর্থ প্রজন্মের পরিষেবাও চালু হল এই শহর থেকেই। মঙ্গলবার কলকাতায় ওই পরিষেবা আনল এয়ারটেল।
সংস্থার দাবি, কলকাতাকে বেছে নেওয়ার কারণ মূলত দুটি।
প্রথমত, সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি।
দ্বিতীয়ত, এ শহরে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি হয়ে যাওয়া। তবে এখন শুধুমাত্র তারবিহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাই মিলবে এই প্রযুক্তিতে। কেন্দ্র এখনও এই পরিষেবায় ফোন বা এসএমএস-এর ছাড়পত্র দেয়নি। |
 |
উদ্বোধনে সুনীল মিত্তল ও সিব্বল।-নিজস্ব চিত্র |
তবে কেন্দ্র ছাড়পত্র দিলেও যন্ত্রের অভাব থাকতই। আপাতত চালু হওয়া পরিষেবার ক্ষেত্রেও তা থাকবে। এ নিয়ে এ দিন সংশয় প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী কপিল সিব্বল ও ভারতী এয়ারটেলের কর্ণধার সুনীল মিত্তলও। তা হলে কেন এত দ্রুত এই পরিষেবা চালু হচ্ছে? বিশেষ করে যেখানে ৪জি-র পূর্বসূরি থ্রিজি-র সাফল্য আটকে থাকার অন্যতম কারণও যন্ত্রের অভাবই?
টেলিকম দফতরের নিয়ম অনুযায়ী ৪জি-র লাইসেন্স পাওয়ার পর পাঁচ বছরের মধ্যেই মেট্রো শহরের ৯০% এলাকায় পরিষেবা দিতে হবে সংস্থাকে। আর অন্য সার্কেলের ক্ষেত্রে তা ৫০%। এই শর্ত না মানলে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ গুণতে হবে সংস্থাকে। এ বছরের মধ্যেই পরিষেবা চালু না-করলে সেই আশঙ্কা ছিল। এ ছাড়া পরিষেবা চালু হলে যন্ত্র ও বাজার তৈরিতেও বাড়তি গতি আসবে, আশা সংশ্লিষ্ট শিল্পমহলে। সিব্বলও বলেন, “এয়ারটেল পরিকাঠামো গড়ল। এখন এই পরিষেবাকে আমজনতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে সংশ্লিষ্ট শিল্পকেই।” সংস্থার সিইও (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ভারত) সঞ্জয় কপূরের বক্তব্য, দ্রুতগতির তারবিহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবার ক্ষেত্রে উন্নত দুনিয়ায় অপটিক্যাল ফাইবার প্রযুক্তির পরিকাঠামো থাকলেও এ দেশে তা নেই। সেই ফাঁকটাই পূরণ করবে ৪জি প্রযুক্তি। ৪জি-র জন্য ২০১০-এ স্পেকট্রাম নিলামে কলকাতা, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব ও কর্নাটক, এই ৪টি সার্কেলের লাইসেন্স পায় এয়ারটেল। মাসখানেকের মধ্যেই বেঙ্গালুরুতে ও দু’তিন মাসে অন্য সার্কেলেও এই পরিষেবা চালু করবে তারা। ৪জি পরিষেবা মূলত দুটি প্রযুক্তি নির্ভর লংটার্ম ইভোলিউশান (এলটিই) ও ওয়াইম্যাক্স। এয়ারটেল প্রথম প্রযুক্তির পরিষেবাই এনেছে। আপাতত ডঙ্গল অথবা মোডেম-এর মাধ্যমে পরিষেবা মিলবে। সংস্থার দাবি, চলাফেরার মধ্যেই প্রতি সেকেন্ডে ১০০ এমবি তথ্য চলে আসবে হাতের মুঠোয়। |
|
|
 |
|
|