পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম হায়দার আলি মোল্লা। বাড়ি গলসির পুরাতন গ্রামে। তিনি বর্ধমান শহরের একটি বহুতলে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন।
জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, সম্প্রতি গলসির ঘোষকামালপুরের বাসিন্দা টুম্পা ঘোষ গলসি থানায় অভিযোগ করেন, জেলা পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে হায়দার তাঁর কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা চান। তাঁকে বিশ্বাস করে ওই তরুণী ২৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু এর পরে নিয়োগপত্র দেওয়ার ব্যাপারে হায়দার গড়িমসি করতে শুরু করে। তাতে টুম্পার সন্দেহ হয়। তখন তাঁকে নিরস্ত করতে একটি স্কুলে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন হায়দার। এ জন্য তাঁকে একটি ফর্ম পূরণও করান বলে অভিযোগ টুম্পার। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, এতে তাঁর সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। তাই পুলিশের দ্বারস্থ হন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ পেয়ে সার্কেল ইনস্পেক্টর (বর্ধমান-এ) সমরেশ দে-র নেতৃত্বে তদন্ত শুরু করা হয়। তদন্তে নেমে জানা যায়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমন প্রতারণার অভিযোগ আগেও উঠেছিল। পুলিশ জানতে পারে, বর্ধমান থানা এলাকার সগরাই গ্রামে গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছেন হায়দার। পুলিশ তাঁকে ধরতে না পেরে টুম্পাকে দিয়ে ফোন করায়। ফোনে টুম্পা তাঁকে জানান, বাকি ২৫ হাজার টাকা তিনি হায়দারকে দিতে চান। সে জন্য তাঁকে গলসির পুরাতনচটি বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলেন টুম্পা। হায়দার আসতে রাজি হন।
পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেল ৩টে নাগাদ বাসস্ট্যান্ডে যান টুম্পা। আশপাশেই বাহিনী নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন গলসি থানার ওসি দেবব্রত মুখোপাধ্যায়। হায়দার টাকা নেওয়ার জন্য আসতেই তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতকে বর্ধমানের সিজেএম আদালতে তোলা হলে চার দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
গলসি থানা সূত্রে জানানো হয়, হায়দার নিজেকে কখনও পুলিশ, কখনও সেনাবাহিনীর কর্মী বলে পরিচয় দিতেন। এ ভাবে শুধু গলসির ওই তরুণীই নয়, আরও বেশ কয়েক জনের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, এই চক্রে আরও কয়েক জন জড়িত। তাঁদের খোঁজ পাওয়ার জন্য ধৃতকে জেরা করা হবে বলে জানায় পুলিশ। |