|
|
|
|
বাইক পাচার চক্রের পাণ্ডা ধৃত বাগদায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাগদা |
পুলিশের হাতে ধরা পড়ল আন্তর্জাতিক বাইকপাচার চক্রের পাণ্ডা। রবিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার পুলিশ স্থানীয় পাথুরিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত আনোয়ার মণ্ডল ওরফে জিয়ার বাড়ি বাংলাদেশে। ধৃতের কাছ থেকে প্রায় ৬ কিলোগ্রাম গাঁজা এবং একটি চোরাই বাইকও উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার আনোয়ারকে বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। জেলার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য বলেন, “জিয়াকে জেরা করে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর ফলে চক্রের বাকিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।”
সম্প্রতি বাগদা থেকে বেশ কিছু বাইক চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে আনোয়ার ওরফে জিয়া এই চক্রে জড়িত। মূলত সে-ই চক্রের পাণ্ডা। জিয়াকে ধরার জন্য ফাঁদ পাতে পুলিশ। রবিবার রাতে একটি বাইক চুরি করে পালানোর সময় সে ধরা পড়ে যায়। জিয়াকে জেরা করে পুলিশ জানাতে পারে তার বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার খুরদা এলাকায়। চোরাপথে সে এ দেশে ঢুকে বাইক চুরি ও পাচার করত। এ সবের জন্য নিজস্ব একটা দলও তৈরি করেছিল সে। ওই দলে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের পাশাপাশি স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতীকেও নিয়েছিল সে। এখানে থেকে কাজের সুবিধার জন্য সম্প্রতি বাগদার পাটকেলগাছা এলাকায় বিয়ে করে। বিভিন্ন জায়গায় বাইক চুরির ঘটনার পর সে শ্বশুরবাড়িতে এসে আত্মগোপন করে থাকত। মূলত বাগদা, গাইঘাটা, বনগাঁ, কল্যাণী, চাকদহ, কৃষ্ণনগর, দমদম, কলকাতা থেকে জিয়া ও তার দলবল বাইক চুরি করে বাংলাদেশে পাচার করত। পুলিশ জানতে পেরেছে বাংলাদেশে এক একটা বাইক বিক্রি হত প্রায় ৪০ হাজার টাকায়। প্রায় দশ বছর ধরে জিয়া এই পাচার চক্র চালাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে বাইক চুরির পরে সেগুলো সে বনগাঁর কমলাপুর এবং পেট্রাপোলের গোপন ডেরায় রেখে দিত। পরে সুযোগ বুঝে তা বাংলাদেশে পাচার করত।
পুলিশ জানিয়েছে, জিয়াদের বাইক চুরির পদ্ধতি ছিল অভিনব। যে এলাকায় তারা ‘অপারেশন’ চালাবে বলে ঠিক করত, সেখানে আগে থেকে গিয়ে যাবতীয় খোঁজখবর নিত তারা। মূলত গৃহস্থ বাড়িতে গ্রিলের তালা ভেঙে তারা বাইক চুরি করত। বাইকের ‘লক’ বা তালা বাঙতে সিদ্ধহস্ত ছিল তারা। |
|
|
|
|
|