ভরা কোটালে জল বেড়ে ইছামতী নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বসিরহাটের সংগ্রামপুর শিবহাটি পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা। সোমবার দুপুরে সংগ্রামপুরের চৌর এবং অমরকাটি গ্রামের কাছে বড় এলাকা জুড়ে বাঁধ ভাঙায় কয়েকশো বিঘা চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকে পড়েছে। ফলে চাষে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। বেশ কিছু বাড়ি জলমগ্ন হয়েছে।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যান বসিরহাট ১ নম্বর ব্লকের বিডিও ভাস্কর পাল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাজ্জাক বৈদ্য-সহ সেচ দফতরের অফিসাররা। দুপুরে নদী ভাঙন এবং সন্ধা থেকে মুশলধারে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় দুর্গতির মধ্যে পড়েছেন প্লাবিত এলাকার মানুষ। বসিরহাটের মহকুমাশাসক শ্যামল মণ্ডল বলেন, “ঠিক কতটা এলাকা জুড়ে বাঁধ ভেঙেছে, জল থাকায় তা ভালো ভাবে বোঝা যাচ্ছে না। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, ১২৫ মিটারের উপর বাঁধ ভেঙেছে। শতাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।” |
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, চৌর গ্রামে বাঁধে ফাটল দেখে এ দিন গ্রামবাসীরা মাটি দিয়ে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করেন। তবে, দুপুরে জলের তোড়ে তাঁদের সেই চেষ্টা বিফল করে দেয়। বাড়িতে জল ঢুকে যাওয়ায় কয়েকটি পরিবারকে স্থানীয় স্কুলে আশ্রয় নিতে হয়। গবাদি পশুদের উঁচু যায়গার রাখার বন্দোবস্ত করা হয়। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ রতন মণ্ডল অভিযোগ করেন, “সেচ দফতরের গাফিলতিতেই বাঁধের এই দুরবস্থা।”
গ্রামবাসীদের বক্তব্য, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ দ্রুত মেরামতি করা না হলে সমস্যা বাড়বে। তবে, জল না কমা পর্যন্ত বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করা কঠিন বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা। নদীর জল বাড়ায় সুন্দরবন এলাকার অনেক জায়গাতেই কোথাও বাঁধ বসে, কোথাও বাঁধ ছাপিয়ে অথবা বিকল স্লুইস গেট দিয়ে জল ঢুকেছে গ্রামে। |