|
|
|
|
টানা ঝড়-বৃষ্টি আতঙ্কে চাষিরা |
নিজস্ব সংবাদাতা • ঘাটাল |
এত দিন যাঁরা বৃষ্টির জন্য হা-পিত্যেশ করেছিলেন, তাঁরাই এখন কালবৈশাখী আতঙ্কে ভুগছেন!
দীর্ঘ দিন বৃষ্টি না হওয়ায় বোরো ধান, তিল-সহ বিভিন্ন চাষে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। লো-ভোল্টেজের জন্য পাম্প থেকে পর্যাপ্ত জল না ওঠায় দেখা দিয়েছিল সেচ-সঙ্কট। কংসাবতী জলাধারের জলও সব চাষি পাচ্ছিলেন না। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়েই চাষিরা চাইছিলেন একপশলা বৃষ্টি। স্বস্তির সেই বৃষ্টি নামল বটে, কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে টানা ঝড়-বৃষ্টি, সঙ্গে শিলাবৃষ্টির জেরে কপালে ভাঁজ পড়েছে চাষিদের। জেলার বিভিন্ন ব্লকে বোরো ধান ও তিল চাষের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ভুট্টা চাষেরও। কোথাও ধানের শিস বেরোতে শুরু হয়েছিল, বেশিরভাগ জায়গায় তিলের ফুলও ফুটতে শুরু করেছিল। কিন্তু কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিতে সব লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে।
এ বছর জেলায় বোরো চাষ হয়েছে ১ লক্ষ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে। গত বৃহস্পতিবার থেকে ঝড়-বৃষ্টির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমির ধান। প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে তিল চাষ, ২৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষেরও ক্ষতি হয়েছে। এই হিসেব গড়বেতা ২ ও ৩, খড়্গপুর ১ ও ২, নারায়ণগড়, মেদিনীপুর সদর, সবং এবং কেশপুর--এই ৮টি ব্লকের। অন্য ব্লক থেকে এখনও রিপোর্ট আসেনি। জেলার সহ কৃষি-অধিকর্তা দুলাল দাস অধিকারী বলেন, “ঝড় এবং শিলাবৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন ব্লকে বোরো ও তিলের ক্ষতি হয়েছে। এখনও সব তথ্য এসে পৌঁছয়নি। ফলে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।” রবিবারের ঝড়ে চন্দ্রকোনা, ঘাটাল, গড়বেতা, দাসপুর, চন্দ্রকোনারোডে বোরো চাষের ক্ষতি হয়েছে। কোথাও ধানগাছ জমিতে লুটিয়ে পড়েছে, কোথাও শিলাবৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে ধানের শিস। তিলের জমিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। ফলে, তা পচে যাওয়ার আশঙ্কা। গোয়ালতোড়ের পিংবনির ক্ষুদ্রচাষি নারায়ণ ঘোষের আক্ষেপ, “১৮ কাঠা জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম। এত দিন বৃষ্টির অভাবে ধান মরতে বসেছিল। এ বার কালবৈশাখী সব শেষ করে দিল।” একই কথা বললেন দাসপুরের নিজামপুরের গোপাল দাস, ঘাটালের ইড়পালার অরুণ চক্রবর্তীরা। |
|
|
|
|
|