|
|
|
|
পুরবোর্ডে ডামাডোল |
ঘাটালে পদ ছাড়ছেন তৃণমূল কাউন্সিলররা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
খড়্গপুরের পর এ বার ঘাটাল। পশ্চিম মেদিনীপুরের আরও একটি পুরসভায় কংগ্রেস-তৃণমূল সম্পর্কে ফাটল দেখা দিল। খড়্গপুরে তৃণমূলের পুরবোর্ডে কংগ্রেস যোগ দেয়নি, বাইরে থেকে সমর্থন করছিল। সেই সমর্থন কিছু দিন আগেই তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এমনকী অনাস্থা আনা নিয়েও কংগ্রেসের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে। তেমন হলে বোর্ডে ক্ষমতা হারাতে পারে তৃণমূল। ঘাটালে ২০১০-এর পুরনির্বাচনে জোট না হলেও ভোটের পরে কংগ্রেসের সঙ্গে মিলিত ভাবেই বোর্ড গড়েছিল তৃণমূল। পুরপ্রধান হয়েছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর, উপ-পুরপ্রধান তৃণমূলের। পুর-প্রধান পরিষদেও যোগ দিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু দু’দলের সম্পর্ক কখনওই মসৃন হয়নি। এ বার তৃণমূলের তরফে উপ-পুরপ্রধান এবং পুরপ্রধান-পারিষদ পদ ছাড়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। অর্থাৎ পুরবোর্ডেই আর থাকতে চাইছে না তৃণমূল। তবে এখনও কংগ্রেসের পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থাও যে তাঁরা আনছেন না, তা জানিয়েছেন ঘাটালের তৃণমূল নেতৃত্ব। অথার্ৎ, আপাতত তাঁদের ভূমিকা সীমাবদ্ধ থাকবে বাইরে থেকে সমর্থনেই। খড়্গপুরে কংগ্রেসের পাল্টা হিসাবেই তৃণমূলের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ঘাটালের তৃণমূল-শিবির সূত্রের খবর, রবিবার পুরবোর্ড সংক্রান্ত এক বৈঠকেই পুরবোর্ডের সব পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই তা লিখিত ভাবে মহকুমাশাসক-সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো হবে বলেও দলীয় সূত্রের খবর। তৃণমূলের ঘাটাল ব্লক সভাপতি অজিত দে-র বক্তব্য, “দলীয় বৈঠকে উপপুরপ্রধান-সহ আমাদের কাউন্সিলররা যে সব পদে ছিলেন, তা থেকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত হয়েছে।” ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলইয়ের বক্তব্য, “পুরপ্রধান পক্ষপাতিত্ব করছেন। আমাদের কাউন্সিলররা অপমানিত হচ্ছেন। তৃণমূলের চেয়ে সিপিএমের ওয়ার্ডগুলোতে বেশি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান কংগ্রেসের জগন্নাথ গোস্বামী অবশ্য বলেন, “পদত্যাগের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এখনও বলছি, আমি ও আমার দলের কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের কোনও অভিযোগ প্রমাণ হলে আমি নিজেই পদত্যাগ করব।” |
|
|
|
|
|