গড়ের মাঠের সেই ঐতিহাসিক চরিত্রগুলো ঢুকতে চলেছেন উচ্চমাধ্যমিকের ইতিহাস পাঠ্যক্রমে।
গোরাদের হারিয়ে শিবদাস ভাদুড়ি, বিজয়দাস ভাদুড়ি, কানু রায়দের আই এফ এ শিল্ড জয় নিয়ে নানা গবেষণা চলছে বহু দিনই। এই সে দিনই গেল শিল্ড জয়ের শতবর্ষ। ১৯১১ সালের সেই শিল্ড জয়ের চর্চা এ বার করবেন ছাত্রছাত্রীরাও।
উচ্চমাধ্যমিক সিলেবাস কমিটি সোমবার উচ্চমাধ্যমিক সংসদের কাছে সুপারিশ করেছে, মোহনবাগানের সেই ঐতিহাসিক শিল্ড জয় পাঠ্যক্রমে আনা হোক। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে ওই শিল্ড জয় এক বড় ভূমিকা নিয়েছিল, বাঙালিকে উদ্বেলিত করেছিল বলেই এই সিদ্ধান্ত। রাজ্য সরকার এই সিলেবাসের খসড়া অনুমোদন করলে, ২০১৩ সালের পাঠ্যক্রমেই তা অর্ন্তভূক্ত হবে।
ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টকে হারিয়ে প্রথম ভারতীয় দল হিসেবে মোহনবাগানের শিল্ড জয় নিয়ে অতীতে নানা বই বেরিয়েছে। তৈরি হয়েছে সিনেমাও। কিন্তু আজ পর্যন্ত বাংলার প্রাথমিক বা মাধ্যমিক পর্যায়ে, কোথাও ফুটবল মাঠের এই ইতিহাস পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত হয়নি। এ বার কেন এই সিদ্ধান্ত? উচ্চমাধ্যমিক সংসদের সভাপতি মুক্তিনাথ চট্টোপাধ্যায় বললেন, “ঔপনিবেশিকতাবাদ থেকে দেশকে মুক্ত করার পিছনে শিল্ড জয় বিশাল ভূমিকা নিয়েছিল। বাঙালিকে উদ্বেলিত করেছিল। সে জন্যই স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস পর্বে এই জয়ের কথা অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে। এই খসড়া সিলেবাস পর্ষদ ও রাজ্য সরকার অনুমোদন করলে পড়ানো শুরু হবে।”
এ বার তাই অপেক্ষা, ইতিহাসের ছাত্রছাত্রীদের পড়ার টেবিলে শিবদাস-বিজয়দাসদের উপস্থিতি কবে দেখা যাবে। |