নিজে কোনও কৃতিত্ব নিচ্ছেন না। বরং দুই ম্যাচে দুই জয়ের যাবতীয় কৃতিত্ব টিমের সতীর্থদের মধ্যে ভাগ করে দিচ্ছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বলে দিচ্ছেন, বোলিংয়ে প্রথম দশ ওভার। আর ব্যাটিংয়ে শেষ দশ ওভারই তফাত গড়ে দিয়েছে তাঁর দল আর অ্যাডাম গিলক্রিস্টের কিংস ইলেভেনর পঞ্জাবের মধ্যে।
“ব্যাট করা সহজ ছিল না। শেষ দিকে ধুন্ধুমারের জন্য আমরা ১৬০ তুলে ফেলতে পেরেছিলাম। শেষ দশ ওভার আমরা যেমন ভাল ব্যাট করেছি, তেমনই আবার ভাল বল করেছি প্রথম দশ ওভারে,” গিলক্রিস্ট-নিধনের পর বলেছেন পুণে নেতা সৌরভ। এই মুহূর্তে আইপিএলের গ্রুপ টেবলে দু’নম্বরে রয়েছে পুণে। রাহুল দ্রাবিড়ের রাজস্থান রয়্যালসের ঠিক পরেই। তবু তা নিয়ে উচ্ছ্বসিত হচ্ছেন না সৌরভ। উল্টে বলে দিচ্ছেন, “এখনও অনেক রাস্তা যাওয়া বাকি।” |
পঞ্জাব অধিনায়ক গিলক্রিস্ট ভেঙে পড়েছেন, মেনে নিচ্ছেন পুণের বিরুদ্ধে একগাদা ভুলের মাসুল দিয়েছে তাঁর দল, কিন্তু একই সঙ্গে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নও দেখছেন। আর দু’দিন পরেই ফের মহড়া নিতে হবে সৌরভের পুণে-র। তবে এ বার ঘরের মাঠে। আর তার আগে কড়া প্র্যাক্টিসে ডুবে যেতে চাইছেন গিলি। বলছেন, “কড়া প্র্যাক্টিস করতে হবে। তবেই ভাগ্য ঘুরবে। এ রকম লম্বা একটা টুর্নামেন্টে এ ভাবে টিমের ফর্ম পড়ে যাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু আমাদের দেখতে হবে কী ভাবে সেটাকে থামানো যায়। ফিরে আসতেই হবে।” সঙ্গে যোগ করেছেন, “কিছু না হলেও পুণে-র বিরুদ্ধে তিরিশ রান বেশি দিয়েছি আমরা। বোলিংয়ের সময় শেষ দশ মিনিট স্রেফ পাগলামি ছাড়া আর কিছু হয়নি। ব্যাটিংয়ের শুরুটাও ডুবিয়েছে।”
তবে পঞ্জাব সবচেয়ে বেশি ভুগেছে মার্লন স্যামুয়েলসের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে। ব্যাটে ৪৬-এর পর, বল হাতে এক উইকেট। এবং তাঁর মনে হচ্ছে, জয়ের পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছে অধিনায়ক সৌরভের স্ট্র্যাটেজি। বলছেন, “অধিনায়কই আমাদের বলেছিল, দেড়শো বড় স্কোর। বল স্কিড করছে। তাই যা স্কোর উঠছে, সেটা যথেষ্ট। আমাদের শুধু টিম মিটিংয়ে বলা হয়, বিপক্ষকে সব সময় চাপে রাখা দরকার। কাঠিন্য দেখানো দরকার। সেটাই করেছি।” |