খুনের মতলব ছিল না, দাবি ধৃত পড়শির
গরার স্কুলছাত্র সৈকত মণ্ডলকে খুনের ঘটনায় ওই পরিবারের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এক যুবককে রবিবার রাতে ধরেছে পুলিশ।
পুলিশি সূত্রের খবর, ধৃত তাপস পাল জেরায় দাবি করেছেন, খুনের মতলব তাঁর ছিল না। তাঁর ধাক্কায় ‘অসাবধানে’ পড়ে গিয়ে একটি ভাঙা থামে লেগে মৃত্যু হয় সৈকতের। তখন নিজেকে বাঁচাতে সে সৈকতের বাবা রাজেন্দ্রনাথবাবুকে ফোন করে মুক্তিপণের গল্প ফাঁদেন। তাপসের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হুগলির এসপি তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, “ধৃতের স্বীকারোক্তি যাচাই করে দেখছে পুলিশ।”
শনিবার বিকেলে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়ে আর ফেরেনি ভেড়িকুঠি এলাকার বাসিন্দা, দশম শ্রেণির ছাত্র সৈকত। রাজেন্দ্রনাথবাবুর মোবাইলে ফোন করে এক জন বলে, ‘১০ লক্ষ টাকা পেলে সৈকতকে ছেড়ে দেওয়া হবে’। পুলিশ সৈকতের দেহ উদ্ধার করে এলাকারই পরিত্যক্ত সরকারি ভবন থেকে। পরে পুলিশ জানতে পারে, সৈকতের যখন মৃত্যু হয়, তখন ওই ভবনের দেওয়ালে একটি সাইকেল রাখা ছিল। সেই সূত্র ধরেই রবিবার রাতে বছর ২৬-২৭-এর তাপসকে ধরা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় সেই সাইকেলটিও।
এ দিন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন তাপসের বন্ধু প্রদীপ মাহাতো। পুলিশের বক্তব্য, প্রদীপের মোবাইল থেকেই ফোন করে তাপস মুক্তিপণ দাবি করেছিলেন।
ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে পুলিশ জেনেছে, সৈকতকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়নি। সামনে থেকে কোনও আঘাতে তার ফুসফুস জখম হয়। তলপেটেও রক্তক্ষরণ হয়েছে। রাজেন্দ্রনাথবাবু বলেন, “আমাদের কোনও শত্রু নেই। কেন তাপস ছেলেকে মারল বুঝতে পারছি না।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.