|
|
|
|
বেআইনি ভাবে একশো দিনের কাজ, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
বিডিও-র অনুমতি ছাড়াই শুরু হয়েছিল একশো দিনের প্রকল্পে পুকুর সংস্কারের কাজ। সোমবার সকালে আরামবাগের মলয়পুর ২ পঞ্চায়েতের পূর্ব কেশবপুর গ্রামে এই কাজ স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার মদতে হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। বিডিও জানিয়ে দিয়েছেন, এই কাজে শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার দায়িত্ব সরকার নেবে না। যা শুনে কাজ বন্ধ করতে বলেন ওই তৃণমূল নেতা মিনহাজ আহমেদ। অভিযোগ, এর পরে তিনি শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে পঞ্চায়েতে চড়াও হন। তিন দিনের মধ্যে ওই কাজ একশো দিনের প্রকল্পের আওতায় এনে শুরু না করলে পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন।
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুকুরটি স্থানীয় নহুরা বিবির। একশো দিনের কাজের প্রকল্পে সেটি সংস্কারের জন্য গত বছর তিনি পঞ্চায়েতের কাছে আবেদন করেছিলেন। তাঁর দাবি, কারিগরী অনুমোদন মিললেও কাজ শুরু হয়নি। পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের সহদেব সামন্ত এবং পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ক অরুণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। কাজটি করার জন্য যাঁর প্রশাসনিক অনুমতি প্রয়োজন, তিনি বিডিও।” এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিডিও মৃণালকান্তি গুঁই বলেন, “ব্যাপারটা মনে নেই।”
এ দিকে, সোমবার তৃণমূল নেতা মিনহাজ লোকজন নিয়ে এসে কাজ শুরু করে দেন। তাঁর বক্তব্য, “আমাদের দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য কাজ আটকে ছিল। গ্রামে আমাকে খাটো করতেই গত দশ মাস ধরে দলের একটি গোষ্ঠী একশো দিনের প্রকল্পের কাজে বাধা দিয়ে আসছে।” স্থানীয় তৃণমূল নেতা শাহ মহম্মদ রফিকের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মিনহাজ। এ ব্যাপারে তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের ব্লক সভাপতি রফিকের বক্তব্য, “সিপিএম থেকে এসে আমাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই অনৈতিক কাজকর্ম করছে মিনহাজ।”
দলের বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা বলেন, “আমরা চাই সরকারি নিয়ম মেনেই কাজ হোক। আমাদের দলে বিভেদ সৃষ্টি করতে সিপিএমের লোকজন এই কাজে মদত দিচ্ছে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।” পঞ্চায়েত প্রধান তথা সিপিএম নেতা সহদেব সামন্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। |
|
|
|
|
|