|
|
|
|
স্মারকলিপি দিতে এসে ঘেরাও পঞ্চায়েতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাণ্ডুয়া |
‘আগে থেকে জানিয়ে’ স্মারকলিপি দিতে এসেও প্রধানকে না পেয়ে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পঞ্চায়েত ঘেরাও করলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। যার জেরে পঞ্চায়েতের কর্মীরা আটকে পড়েন। শেষ পর্যন্ত বিডিও-র দফতরের আধিকারিকদের হস্তক্ষেপে ঘেরাও ওঠে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডুয়া ব্লকের সরাই-তিন্না পঞ্চায়েতে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেল ৩টে নাগাদ তৃণমূলের কয়েকশো কর্মী-সমর্থক সিপিএম পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতে যান স্মারকলিপি দিতে। পৌঁছে তাঁরা জানতে পারেন, প্রধান চন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় দফতরে আসেননি। তিনি ছুটি নিয়েছেন। অভিযোগ, শুধু প্রধানই নন, উপপ্রধান-সহ সিপিএমের অন্য সদস্যেরাও সে সময়ে পঞ্চায়েতে ছিলেন না। বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূলের লোকজন। ঘেরাও করা হয় পঞ্চায়েত দফতর। আন্দোলকারীদের দাবি, স্মারকলিপি দিতে আসার কথা বেশ কয়েক দিন আগেই তাঁরা লিখিত ভাবে প্রধানকে জানিয়েছিলেন। পাণ্ডুয়া ব্লক তৃণমূলের সভাপতি আনিসুল ইসলামের অভিযোগ, “পঞ্চায়েতে অনেক দুর্নীতি হয়েছে বা হচ্ছে। তাই ওঁরা কেউ আমাদের মুখোমুখি হতে চাননি। এমনকী, প্রধান যে ছুটি নিয়েছেন, তা-ও আমাদের জানাননি। যদিও লিখিত ভাবে তা জানানোই রীতি। তবে ওঁরা এমন করলেও সত্য কিন্তু গোপন থাকবে না।”
গোলমালের আশঙ্কায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন ছিল। কিন্তু পুলিশের অনুরোধে ঘেরাও তুলতে রাজি হননি আন্দোলনকারীরা। তাঁরা প্রশাসনিক কর্তাদের আসার দাবি জানান। পাণ্ডুয়ার জয়েন্ট বিডিও অনন্যা ঘোষ আন্দোলকারীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। ওই দফতরের এক অফিসার ঘটনাস্থলে যান। এর পরেই সন্ধ্যা পৌনে ৭টা নাগাদ ঘেরাও ওঠে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, একশো দিনের কাজ, ইন্দিরা আবাস যোজনা, বার্ধক্য ভাতা-সহ বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে ওই পঞ্চায়েতে। মানুষকে পর্যাপ্ত পরিষেবা দেওয়া হয়নি। আনিসুল বলেন, “যেটুকু কাজ ওই পঞ্চায়েতে হয়েছে, তাতেও স্বজনপোষণ করেছেন সিপিএমের লোকেরা।”
পঞ্চায়েত প্রধানের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। বারবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছে, কয়েক দিন দফতর ছুটি থাকায় প্রধানের হাতে তৃণমূলের চিঠি পৌঁছনো যায়নি। শারীরিক অসুস্থতার জন্য প্রধান গত ৫ তারিখ থেকে ১৫ দিনের ছুটি নিয়েছেন। আর্থিক দুর্নীতি অথবা স্বজনপোষণের অভিযোগও উড়িয়ে দেন সিপিএমের নেতারা। স্থানীয় এক সিপিএম নেতা বলেন, “পঞ্চায়েতে তৃণমূলের দুই সদস্যও ইন্দিরা আবাস প্রকল্পে ঘর পেয়েছেন। তা হলে স্বজনপোষণ কী ভাবে হচ্ছে?” |
|
|
|
|
|