মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে হাত লেগে মৃত্যু হল এক তরুণী এবং এক প্রৌঢ়ার। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির গাফিলতিতে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করে এবং মৃতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির গোঘাটের কামচে গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম গৌরী তপস্বী (১৮) এবং ভানুমতী ঘোষ (৫০)। দু’জনে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ বাড়ির কাছেই জমির আলের ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন ভানুমতীদেবী এবং গৌরী। রবিবারের ঝড়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বিদ্যুৎ পরিবাহী তার ছিঁড়ে ঘাসে ঢাকা পড়ে ছিল। ওই তারে হাত লেগেই ওই দু’জন তড়িদাহত হন। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। সেই খবর চাউর হতেই গ্রামবাসীরা ভিড় করেন। শুরু হয় বিক্ষোভ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করতে এলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে আসার দাবি জানান ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, ছিঁড়ে পড়া তারের কথা একাধিকবার বিদ্যুৎ দফতরে জানানো হলেও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। সেই কারণেই দু’জন বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ দেহ দু’টি উদ্ধার করে পুলিশ। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির আরামবাগের ডিভিশনাল ম্যানেজার চন্দন মণ্ডল বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আমাদের দফতরের অফিসারেরা ঘটনাস্থলে যাবেন। মৃতেরা যাতে ক্ষতিপূরণ পান, তার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করব।” |
বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি সূত্রের খবর, গত রবিবার বিকেলে কালবৈশাখী ঝড়ে আরামবাগ মহকুমায় ১২৫টি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে অথবা হেলে পড়ে। ওই বিকেল থেকেই মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন। এ নিয়ে মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ দফতরে এ দিন বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।
ডিভিশনাল ম্যানেজার অবশ্য সোমবার সন্ধ্যায় দাবি করেন, “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেরামতের কাজ চলছে।” মঙ্গলবারের কালের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা করেছেন তিনি।
|